আসন্ন হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান সাবেক ছাত্রনেতা ফরিদুল ইসলাম। তিনি মূলত অতীতের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে সাধারণ মানুষের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে দূরত্বের কারনে তাতের পাশে থাকার সুযোগটা কাজে লাগাতে চান। তবে তার এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাবান স্বাধীনতার জীবন্ত কিংবদন্তি মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির গ্রীণ সিগনাল পেয়েই সফল হতে চান।
ফরিদুল ইসলাম ২০০১ সালে ততকালীন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক পদে থাকাকালীন বিএনপির ছাত্রদলের হাতে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে হাসপাতালের বিছানায় পড়ে ছিলেন। তারপর ২০০৪ সালে ক্লিনহার্ট অপারেশনের সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০০৬ সালে ততকালীন রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজ হঠাও আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এর পর পেছনে তাকাতে হয়নি। ২০০৬ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নির্বাচিত সভাপতি হিসাবে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সফলতার সাথে নেতৃত্ব পালন করেন। বর্তমানে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক হিসাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে দুঃসাহসিক ভূমিকা পালন করেন।
২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও দুস্থদের মাঝে পিপি পোষাক ও খাবার বিতরণ করে মানবতার পরিচয় দিয়েছেন। সবসময় যখন দলেন নেতাকর্মী অসুস্থ বা নানা হয়রানি স্বীকারের খবর পান তখনি হুমড়ি খেয়ে সহযোগিতার হাত বাড়ান।
ততকালীন ২০০৮, ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা বিজয়ে দুঃসাহসিক টিমের মাধ্যমে বিজয়ের লক্ষ্যে আর্থিক ও শারিরীক ভাবে নিয়োজিত ছিলেন।
তাছাড়া স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে নৌকার পক্ষে বিজয় নিশ্চিতে কাজ করে সফলতা অর্জন করেছেন।
ছাত্রসংগঠন হিসাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির উপর আস্থা রেখে আসন্ন হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এ সময় সাবেক ছাত্রনেতা ফরিদুল ইসলাম বলেন, বিগত সময়ে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ দেখা দেওয়ায় মূলত আমি জনগণের পাশে থেকে সেবার সুযোগে প্রার্থীতা ঘোষণা করি। আমি সবার দোয়া ও সহযোগিতা চাই।
প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ২২ জানুয়ারি ২০২৪