Home / শীর্ষ সংবাদ / হাজীগঞ্জে স্কুলছাত্রকে খুন করে গুম করার চেষ্টা : প্রধান আসামিসহ আটক ৯
স্কুলছাত্র

হাজীগঞ্জে স্কুলছাত্রকে খুন করে গুম করার চেষ্টা : প্রধান আসামিসহ আটক ৯

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার স্কুলছাত্র মারুফ হোসেন রিয়াদ (১৬) খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি মো.ফারুক হোসেনসহ ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

২১ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে পিবিআই কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,ময়মনসিংহ থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফারুক হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলা পুলিশ ইনভেশটিগেশন(পিবিআই) টিম সোমবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে।প্রধান আসামি কচুয়া উপজেলার মালছোঁ গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে ফারুক হোসেন।

রোববার সকালে পৌরভার ৪নং ওয়ার্ড মকিমাবাদ গাইন বাড়ির সম্মুখে ফরিদ হোসেনের দোকান থেকে মারুফ হোসেন রিয়াদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রিয়াদের বাবা ফারুক মিয়া রবিবার রাতে নামধারী ৬জন ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে বিবাদী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। রিয়াদ আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ মামলার নামধারী সকল আসামীসহ আরো তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এদের মধ্যে ৮জনকে সোমবার চাঁদপুর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আলমগীর হোসেন রনি ও তদন্ত ওসি আবদুর রশিদ আটক ৮জনকে জেলহাজতে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তারা হলো- মকিমাবাদ জালাল উদ্দিন হাজী বাড়ীর মুকবুলের ছেলে রাকিব, হানিফের ছেলে রাব্বী, মোস্তফার ছেলে সাকিব ও আবদুল মালেকের ছেলে রাকিব, আবুল কাশেম, দোকানের মালিক ফরিদ হোসেন, চাচা শাকিল, সুইপার নুরুল আমিন।

পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, রিয়াদকে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়। তার হত্যা নিশ্চিত হবার পর টয়লেটের ট্যাংকিতে গুম করে রাখার চেষ্টা করে খুনিরা। আর এ জন্য দুইটি টয়লেট পরিষ্কার করে নুরুল আমিন। আমিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরায় শনিবার দিবাগত রাত ১১টার পর ফুটেজে থাকা রাকিব-১, রাকিব-২, রাব্বী, সাকিব ও কাশেমকে রোববার রাতে আটক করা হয়। ওই ফুটেজে থাকা মামলার প্রধান আসামিকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, রিয়াদ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের আটক করা হয়েছে।

স্পেশাল করেসপন্ডেট