হাজীগঞ্জে মসজিদের জায়গা দখল করায় মুসল্লিদের ক্ষোভ

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে একটি জামে মসজিদের নামে কিছু অংশ জায়গা জোরপূর্বক ভাবে পাশ্ববর্তী জমির মালিক দখলে রেখেছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আর এতে করে মসজিদের মুসল্লিরা ফুঁসে উঠেছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের উড়পুর বড় বাড়ি জামে মসজিদটি গড়ে উঠেছে দ্বিতলা বৈশিষ্ট্য। ২০১৩ সাল এ জামে মসজিদ স্থাপিত হয়। মসজিদের নিচ তলা ও দ্বিতীয় তলা মিলে দুই আড়াইশ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। জায়গার অভাবে মসজিদের পরিধি বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তার মধ্যে বাহিরে অজুখানা ও টয়লেটের ব্যবস্থা থাকলেও নেই কোন উন্নয়নের চোঁয়া।

উড়পুর বড় বাড়ির মানুষসহ পাশ্ববর্তী বাড়ীর বাসিন্ধারা মিলে মসজিদের আয়-ব্যায় বহন করে আসছে। একমাত্র মসজিদের পূর্ব পাশে সরকারি কিছু হালটের অংশ মসজিদ কমিটি ইজারা দিয়ে আসছেন। সর্বশেষ আগামি দুই বছরের জন্য মাত্র চার হাজার টাকা ইজারা দেন উড়পুর বড় বাড়ীর স্বপন নামে এক জৈনেক ব্যক্তির কাছে। তিনি শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রায় দেড় বছর ঐ হালট সম্পত্তি দখলে রেখেছেন। কিন্তু এরই মাঝে বাঁধা হয়ে দাড়ান একই বাড়ীর মৃত আব্দুল ছাত্তারের ছেলে আব্দুল বারেক।

বড় বাড়ী জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি মাওলানা সফিউল্ল্যার কাছ থেকে গত ৬ মাস পূর্বে আব্দুৃর বারেক খাস সম্পত্তির পেছনে মালিকানা অংশ ক্রয় করেন। কিন্তু সেই অংশ বাড়ী তৈরির জন্য মাটি কাটতে গিয়ে সামনে মসজিদের দখলে থাকা হালট অংশটি দখলের চেষ্টা করেন আব্দুল বারেক। বিষয়টি দেখে মূল ইজারাদারসহ মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্দ বাঁধা দেয়। কিন্তু তাদের বাঁধা উপেক্ষা করে আ. বারেক তার অংশের সাথে সরকারি হালটের কিছু অংশে মাটি পেলে দখলে রেখেছে। আর এতে করে এবার মসজিদের মুসুল্লিরা ফুঁসে উঠেছে।

মসজিদের মুসল্লি আরব আলী, লিয়াকত আলী, মহসিন, হায়দার, সেফায়েত, আরিফ ও মোবারক মিয়া বলেন, আমাদের মসজিদের তেমন কোন আয় নেই। তাই আমরা সরকারি হালটের অংশটি মসজিদের নামে ভোগদখল দেখে আসছি। কিন্তু হঠাৎকরে আ. বারেক তার পেছনের অংশের সাথে মসজিদের নামে সরকারি হালট দখলের পায়তারা করছে। আমরা এ ঘটনার জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করি এবং বিষয়টি প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা দুই বছরের জন্য সরকারি হালটটি মসজিদের নামে লিজ দিয়েছি। একজন প্রতিপক্ষ আ. বারেক জোরপূর্বক পেছন থেকে সামনের অংশ দখল করেছে। আমরা বিষয়টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অবহিত করেছি।

মসজিদের সভাপতি মাও. শফিউল্ল্যা বলেন, মসজিদের কোন আয় নেই, তাই সরকারি হালট দুই বছরে ৪ হাজার টাকা ইজারা দেই। আ. বারেক আমার কাছ থেকে জমি কিনেছে। কিন্তু সামনের অংশ দেই নি। অথচ এখন তার সুবিদার্থে হালটের অংশ দখল করেছে।

এ বিষয়ে আব্দুল বারেক বলেন, আমি কোন হালটের অংশ দখল করিনি। তবে বাড়ী বাধতে গিয়ে কিছু মাটি পড়তে পারে, তা আমি সরিয়ে নেবো।

প্রতিবেদক: জহিরুল ইসলাম জয়, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

Share