চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ আমলী আদালতে বাংলাদেশ দন্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় ৫ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এক কন্টাক্টর। বাদীর আরজীর পেক্ষিতে আদালত মামলা আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের ভার দেন।
মামলার বাদী হাজীগঞ্জের ৬নং বড়কূল পৃর্ব ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী গ্রামের রহুলআমিন তফদারের ছেলে মো. মনির হোসেন কন্টাক্টর।
মামলার আসামী করা হয়েছে, ফরিদগঞ্জের ৩নং সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের মনতলা পাটোয়ারী বাড়ীর মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে হীরন পাটোয়ারী (৩৫), শাহাজানের ছেলে রায়হান পাটোয়ারী (৩০), ইসমাইল মিয়ার ছেলে মহসিন পাটোয়ারী (২৮), আবুল বাসারের ছেলে রুবেল পাটোয়ারী (২৬) ও মুজফফর পাটোয়ারীর ছেলে ইয়াছিন পাটোয়ারী (২৫)সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন লোক।
এদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩৯৫/৩৭৯(২)/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার লিখিত সৃত্রে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ শনিবার রাতে মামলার বাদী মরির হোসেন কন্টাক্টর মোটরসাইকেল যোগে হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের চালিয়াপাড়া এলাকায় গেলে আসামীগণ পূর্বপরিকল্পিত ভাবে বাধাঁ হয়ে দাড়ায়। হঠাৎকরে তারা দা, ছেনি, রড, রিভালবার, কিরিচ নিয়া মনির হোসের কন্টাক্টরকে ঠেক দিয়ে এলোপাতালী কিল, ঘুষি, লাথি মেরে মাটিতে পেলে দেয়। হীরন পাটোয়ারীর মাথায় রিভালবার দিয়ে মাথায় টেক দিলে বাকী আসামীরা কন্টাক্টরের কাছে থাকা এক লক্ষ ৬৩ হাজার টাকাসহ মোটরসাইকেল জোরপূর্বক ছিনিয়া নেয়।
এসময় তারা প্রাণে ভিক্ষা দিয়ে বলেন, এ ঘটনা যদি কাউকে বলিস বা মামলা করিস তাহলে তোকে যেখানে পাবো সেখানে মারিয়া লাশ গুম করে ফেলবো বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা এরই মধ্যে দৌড়ে এসে মনির কন্টাক্টরকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করে এবং তার ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল প্ররিত্যাক্ত স্থানে খুজে পেয়ে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে মামলার বাদী মনির হোসেন কন্টাক্টর বলেন, আমি অত্যান্ত সুনামের সহিত রাজ মিস্ত্রির কন্টাক্টর হিসাবে উক্ত এলাকায় বেশ পরিচিত। কিন্তু পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাকে আঘাত করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়া এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত অপরাদের বিচার চেয়ে আমি আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
স্টাফ করেসপন্ডেট, ২৪ মার্চ ২০২২
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur