Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জে কৃষি জমিতে ড্রেজারে বালু উত্তোলন : হুমকির মুখে ফসলি জমি
হাজীগঞ্জে ড্রেজারে বালু উত্তোলন চলছে : হুমকির মুখে ফসলি জমি

হাজীগঞ্জে কৃষি জমিতে ড্রেজারে বালু উত্তোলন : হুমকির মুখে ফসলি জমি

চাঁদপুর হাজীগঞ্জে ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের কাকৈরতলার কৃষি জমিতে অবৈধ ড্রেজিং চালিয়ে ফসলি জমির ধ্বংস ও পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে অবৈধ ড্রেজিং কাজ করে চলেছে।

একই ইউনিয়নের তারাপাল্লা গ্রামের শাহজান মিয়া নামীয় ব্যক্তি ড্রেজার দিয়ে চলছে এই অবৈধ মাটি উত্তোলন ব্যবসা। সে বর্ষার শুরু থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

বর্তমানে বর্ষার পানি নেমে গেলেও অবৈধ ড্রেজারের মাধ্যমে মাটি উত্তোলনের কাজ বন্ধ রাখেননি ভূমি খেকো শাহজান। ড্রেজার মালিক শাহজানের ড্রেজিং কার্যক্রম চালু থাকায় পার্শ্ববর্তি জমিগুলো নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ওই সব জমির মালিকরা। এতে শাজানের কাছে জিম্মি ও অসহায় হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের কাছ জানা যায়, ‘শাহজান অসহায় কৃষকদের টাকার মোহে ফেলে জমির মাটি কিনে নেয়। এতে করে পার্শ্ববর্তি জমির মালিকরা তাদের জমির উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে পেলেছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কোন সুফল পাচ্ছেন না। তারা চাষাবাদ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। ফলে ফসলের উৎপাদন দূরে থাক নিজেদের জমির সুরক্ষা করতে তারা কোন উপায় দেখছে না।’

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এ মাঠের বেশিরভাগ জমিতে শাহজান ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করার ফলে বিশাল আকারের চর ধারন করেছে। এমনকি একদিকে গর্ত করে আরেকদিকে মানুষ বসত বাড়ী আবাসন নির্মান করে আসছেন। যে কারনে কাকৈরতলা কৃষি মাঠ আর ফসলি জমির মাঠ নেই এ যেন এক লুটের দখলে চলে গেছে। তেমনি একটি এই ভূমি খেকো চক্র মাঠ থেকে মাটি উত্তোলন করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দিচ্ছে। আর এতে করে কাকৈরতলা মাঠের কৃষকরা আগের মত চাষাবাদ করতে না পেরে অন্য পেশায় ঝুকি দিচ্ছেন। যার ফলে ফসলের উৎপাদন দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে দাবি করেন স্থানীয় জমির মালিকরা।

এসব অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় কাকৈরতলার মত পুরো উপজেলায় দিন দিন ভূমি খেকোরা অবৈধ প্রন্থায় তাদের নিরব মাটি বেচা-কেনার ব্যবসায় পকেট ভারি করে চলেছে। তাই স্থানীয় কৃষক ও সচেতন জমির মালিকদের দাবি অচিরেই এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে আগামিতে কৃষি জমির অস্থিত্ব খুজে পাওয়া যাবে না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এলাকার ফসলি জমির মালিকদেরকে এই ক্ষতিকর অবৈধ ড্রেজিং ব্যবসার বিরুদ্ধে আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমি প্রয়োজীন ব্যবস্থা গ্রহন করবো।’

স্টাফ করেসপন্ডেট

Leave a Reply