চট্রগ্রামের হালিশহর থেকে অপহরনের ৭ দিন পর মাদ্রাসা ছাত্র জাশেদুল ইসলাম(১৪)কে শহরের বিপনীবাগ এলাকা হতে উদ্ধার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার(১১ সেপেটম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মমিনুল ইসলাম বিপনীবাগ কাঁচা বাজার থেকে জাশেদুলকে উদ্বার করে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে যায়।
জাশেদুলকে উদ্ধারের পর তার পিতা-মাতার কাছে চট্রগ্রামের স্বন্দীপে খবর পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানান।
জাশেদুল বলেন, ‘সে মাদ্রাসা ছাত্র। তাদের বাড়ি চট্রগ্রমের স্বন্দীপ। সে চট্রগ্রাম হালিশহর থেকে, হালিশহর আল-জামিয়া ইসলামিয়া বাইতুল করিম মাদ্রাসার হেফজো বিভাগের ছাত্র হিসেবে পড়ে। সে ১১ পাড়া কোরআন মুখস্ত করেছে। তার বাবা স্বন্দীপ এলাকায় কাঠুরিয়ার কাজ করে। তার মা পেরালাইসিসের রোগী। তার তিন ভাই ও এক বোন রয়েছে।’
জাশেদুল আরও বলেন,‘সে বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় তাদের এ ব্লকের বাসা থেকে বাহির হয়ে বি ব্লকের কাছে আসলে ২ জন যুবক (অপহরন চক্র) তাকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকে। এ পর্যায়ে জাশেদুল বাসে উঠলে ২ যুবক ও বাসে উঠে। কিছুদূর যাওয়ার পর বাস থেকে সব যাত্রী নেমে গেলে জাশেদুল নামার সময় যুবকরা তার নাকের কাছে তুলাসহ আতর ধরলে জাশেদুল জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার পর আর সে কিছু বলতে পারবেনা।’
এদিকে অপহরন চক্র সূকৌশলে জাশেদুলকে চাঁদপুর নিয়ে আসে। চাঁদপুর এনে তাকে শহরের অজ্ঞাতস্থানে আটকিয়ে রাখে। সেখানে অপহরন চক্র তাকে একটি ঘরে আটকিয়ে রেখে কোন খাবার না দিয়ে দুর্বল করে ফেলে, সামান্য পানি খেতে দিত বলে এবং তাকে যে ঘরে আটকিয়ে রাখা হয় সে ঘরের পাশ দিয়ে ট্রেন আসা-যাওয়ার করতো বলে সে শব্দ পেত বলে জানায়।
মঙ্গলবার তাকে আটকিয়ে রাখা স্থানে থেকে সে বাহির হয়ে শহরের বিপনীবাগ আসলে বাজারের এক তরকারী ব্যবসায়ী তাকে জিজ্ঞাসা করার পর তার কথা শুনে জাশেদুলকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে দেয়।
পুলিশের ধারনা তাকে হয়তো শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক এলাকায় রাখা হয়েছিল। পুলিশ শিশু জাশেদুলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু কোন নির্ধারিত স্থান সে সনাক্ত করে বলতে পারেনি। সে বলেছে,সুন্দর-মধ্য বয়সি ২ যুবক তাকে ৫ দিন পাহারা দিয়েছে।
এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করা হয়েছে বলে চাঁদপুর মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে।
প্রতিবেদক: কবির হোসেন মিজি
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur