হাজীগঞ্জে ইভটিজিংয়ের শিকার কলেজছাত্রী

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ডিগ্রী প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে প্রতিনিয়ত ইভটিজিং (উত্যক্ত) করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে ছাত্রীটি গত এক মাস ধরে কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।

এমন অভিযোগে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, একই এলাকার গাইন বাড়ির আ. মান্নানের ছেলে নুরে আলম (১৯) দীর্ঘ দিন ধরে কলেজছাত্রী সীমা (ছদ্মনাম)কে কলেজে আসা-যাওয়ার মধ্যে উত্যক্ত করে আসছে। একপর্যায়ে অভিযুক্ত নূরে আলম প্রতিদিন রাতে তার বসত ঘরের সম্মুখে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের উস্কানি দিত শুরু করে। মেয়েটির পরিবার কৌশল অবলম্বন করে নূরে আলমকে কয়েক রাত পাহারা দিয়ে নূরে আলমকে হাতেনাতে আটক করতে সক্ষম হয় এবং তাকে গণধোলাই দিয়ে পরিবার ও স্থানীয়দের হাতে সোপর্দ করে ।

এতে নুরে আলম আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জানুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় ইভটিজার নুরে আলম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কলেজ ছাত্রীর মাকে মারধর করে । সে সাথে তার বসত ঘরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায় ।

সীমার (ছদ্মনাম) পিতা স্বপন বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে হাজীগঞ্জ থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযুক্তরা হলেন, নূরে আলম, শুকুর আলম, মনির হোসেন, খোকন ও সাজুদা বেগম । অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আ. মান্নান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রী সীমা (ছদ্মনাম) বলেন, আমি যখন মডেল কলেজে এইচএসসিতে অধ্যয়নরত তখন থেকে নূরে আলম কলেজে আসা-যাওয়ার পথে আমাকে লক্ষ্য করে প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের অঙ্গভঙ্গি দেখাতো। তার কথা ও অঙ্গভঙ্গিতে আমি সাড়া না দেওয়া আমাকে সে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে থাকে ।’

ছাত্রীটি আরো জানায়, নূরে আলমের এসব কার্যকলাপ আমার বাবা ও মাকে জানাই । তারা নুরে আলমের পরিবারকে জানানোর পরও কোন কর্নপাত না করে উল্টো আমার পরিবারকে হুমকি প্রদর্শন করে । পরে মডেল কলেজ থেকে এইচ এস সি পরীক্ষা উওীর্ন হয়ে ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হই । এখানেও যাওয়ার পথেও সে আমার পথে দাঁড়ায়। এখন ইভটিজার নুরুর ভয়ে আমার কলেজে যাওয়া ১ মাস বন্ধ রয়েছে । আমি যেনো পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারি সে জন্য ইভটিজারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

Share