Home / উপজেলা সংবাদ / হাজীগঞ্জ / হাজীগঞ্জের ৯ ইউনিয়নে নেই সরকারি ভবন
hajigonj

হাজীগঞ্জের ৯ ইউনিয়নে নেই সরকারি ভবন

চাঁদপুর জেলার অন্যতম উপজেলা হচ্ছে হাজীগঞ্জ। স্বাধীনতার পর থেকে যখন ইউনিয়ন পরিষদ চালু হয় তখন থেকে পর্যাক্রমে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে গড়ে উঠে হাজীগঞ্জ উপজেলা।

দেশ উন্নয়নের ছোঁয়া শহর থেকে গ্রাম পর্যায় পৌঁছে গেলেও তৎকালীন চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকারের অধীনস্ত কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় আধুনিক ভবনের মুখ দেখেনি ইউনিয়নবাসী।

হাজীগঞ্জ উপজেলায় বর্তমানে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে মাত্র ৩টি ইউপি কার্যালয়ে নতুন সরকারি আধুনিক ভবনের মুখ দেখলেও বাকি ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদ এখনো পুরানো ও জরাজীর্ণ কার্যালয়ে চালিয়ে আসছে পরিষদের কার্যক্রম।

জানা যায়, ২০০৮ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে নতুন আধুনিক ভবন নির্মাণের জন্য ৩৫ লাখ টাকা করে বরাদ্দ আসে। কিন্তু সে সময় পরিষদের নিজস্ব প্রায় ৪২ শতাংশ সম্পত্তি দেখাতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে হাটিলা পশ্চিম,কালচোঁ উত্তর ও রাজারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ নানা কৌশলে দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ভবনের বরাদ্দ আটকাতে সক্ষম হয়। আর বাকি ৯টি ইউনিনের ৩৫ লাখ টাকা করে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে ফেরত যায় ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি আধুনিক ভবনের জন্য বরাদ্দ চলমান রয়েছে। সে সাথে বর্তমানে প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ৪২ শতাংশ জায়গা কমিয়ে ২৫ শতাংশ জায়গা দেখাতে পারলে নতুন আধুনিক ভবনের বরাদ্দ নিতে পারবে। যার ব্যয় বর্তমান মালামালের খরচের ওপর প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক ভবন নির্মাণের সুযোগ রয়েছে।

সরকারি আধুনিক ভবন থেকে বঞ্চিত উপজেলার এ ৯ টি ইউনিয়ন পরিষদগুলো হচ্ছে বাকিলা , কালচোঁ , সদর ইউনিয়ন, বড়কূল পূর্ব , বড়কূল পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ, হাটিলা পূর্ব,গন্ধর্ব্যপুর উত্তর , গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ও দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ।

এর মধ্যে গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ২৫ শতাংশ জায়গা দেখিয়ে নতুন আধুনিক ভবনের জন্য বরাদ্দ পাশ করান। যা চলতি বছরের শুরুতে প্রায় ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে উক্ত ভবনের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।

হাজীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মীর বলেন,‘আমার পরিষদের নতুন ভবনের জন্য ইতিপূর্বে কাজীরগাঁও এলাকায় ৫৫ শতাংশ জায়গা দেখানো হয়েছে। জটিলতার কারণে ভবনের কাজ ঐ সময় আর হয়নি । তবে বর্তমানে নতুন বরাদ্দে ঐ স্থানে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করর ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া বলেন, ‘যে সকল পরিষদের ভবন নেই সে সব পরিষদের জায়গার কাগজপত্রসহ মন্ত্রণালয়ে আবেদন পত্র রয়েছে।

প্রতিবেদক : জহিরুল ইসলাম জয়
আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৬: ৪০ পিএম, ২৭ জুলাই ২০১৮,শ
এজি

Leave a Reply