‘এতো গুলো পরিচিত মুখ নিমিষেই চলে গেলো। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি শুধুমাত্র ওয়াহেদ মঞ্জিলে হাজীগঞ্জের চারটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিলো। হাজীগঞ্জের এখন পর্যন্ত দুই জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চাঁদপুর টাইমসসের সাথে আলাপকালে এভাবেই তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন প্রত্যক্ষদর্শী শরীফ হোসাইন।’
শরীফ হোসাইন চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ‘চাঁদপুর হাজীগঞ্জ থানার ৯ নং গন্ধ্যর্বপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে নিহত দুই জনের বাড়ি। নিহতরা হলেন মোঃ সিদ্দিক, হাজী মোঃ ইসমাইল হোসেন। এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা সরকারি হিসেবে ৮০ এর ওপরে হবে যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।’
এ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ছিদ্দিকুর রহমান কাজী বাড়ির কাজী আবুল হোসাইনের ছেলে। তারা ৩ ভাই দুই বোন, সে সবার বড়। ছিদ্দিকুর ওই মার্কেটে ব্যবসা করতেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে মা নুরের নেছা অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। চলছে পরিবার পরিজনের আহাজারি।
চকবাজারে স্থানীয়রা বলছে নিহতের সংখ্যা সর্বনিম্ন ১২০ হয়েছে এখন পর্যন্ত। তবে এখন পর্যন্ত আগুনের সূত্রপাত সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায় নি।
শরীফ হোসাইন চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, আমি সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে চকবাজার থেকে আসছি ।ওয়াহেদ মঞ্জিলের নিচ তলায় মুক্তা প্লাস্টিক ব্যবসায়ীক কিছু লেনদেন জন্যে চকবাজারে গিয়েছিলাম। এর পর আমি চকবাজার থেকে চলে আসি।
আগুনের সূত্রপাত সর্ম্পকে শরীফ হোসাইন চাঁদপুর টাইমসকে যা বলেন
প্রথমে এক পিকআপের সাথে প্রাইভেট কারের সংঘর্ষ হয় সেই পিকআপে ছিল সিলিন্ডার গ্যাস, সেটার বিস্ফোরণ আগে হয় অথবা হয় প্রাইভেট কারের সিএনজি বিস্ফোরণ৷
এর পাশেই ছিলো হোটেল, হোটেলে রান্না হচ্ছিল গ্যাসে, সেই গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ। সাথে থাকা বৈদ্যুতিক খুটিতে ট্রান্সফর্মারে বিস্ফোরণ। সময় ৩০ সেকেন্ড, এর মাঝে নিমিষেই সব শেষ হয়ে যায়।
চাঁদপুর টাইমস রিপোট
২১ ফেব্রুয়ারি,২০১৯