হাজীগঞ্জের খাল-বিল স্থানীয়দের দখলে

চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সরকারি খালবিলগুলো বছরের পর বছর স্থানীয়দের দখলে রয়েছে। বর্ষা এলে এসব খাল-বিলের চারদিকে গাছের ঝাঁটা ফেলে, জাল দিয়ে ঘিরে রাখে। বর্ষার শেষে যখন পানি কমে আসে তখন সেচ দিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে তা বিক্রয় করে পকেট ভারী করতে দেখা যায়।

উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের প্রায় দু’শতাধিক খালবিল রয়েছে যা ওই এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দখলে রয়েছে। তারা বিনা পূঁজিতে বর্ষা থেকে শুরু করে বর্ষা শেষে সেচের মাধ্যমে মাছ নিধন করে আসছে। আবার বর্ষার পানি আটক করে কেউ কেউ ওই পানি কৃষকদের কাছে ইরি বোরো রোপণের জন্যে বিক্রয় করছে। এসব যেনো প্রশাসনের চোখে কখনো পড়তে দেখা যায়নি বলে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ।

গত ক’দিনে উপজেলার গর্ন্ধব্যপুর উওর ও দক্ষিণ ইউনিয়নের শাখা-প্রশাখা ক’টি খালে দেখা যায় মাছ নিধনের এসব হরিলুটের চিত্র। তাছাড়া হাইওয়ে সড়কের পাশের খালে সরাসরি এমন দৃশ্য যেনো প্রশাসনের নজরে পড়ছে না।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এরা বেশিরভাগই এলাকার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এগুলো দখল করে আসছে।

খাল-বিল দখলের চেষ্টায় কিছু এলাকায় মারামারি ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। সীমানা ভাগ কিংবা এলাকার প্রভাব, সেই সাথে রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে এ ধরনের মারামারির ঘটনা বেশি চোখে পড়ে।

এরকম ক’জন দখলদারের সাথে কথা বললে তারা জানায়, “আমরা মুক্ত পানিতে যখন মাছ ঘের দিয়ে রাখি, তখন তা আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ নিয়ে কখনো প্রশাসন থেকে বাধা পড়তে দেখিনি।”

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, “মুক্ত জলাশয়ে বেড়িবাঁধ দিয়ে মাছ ধরার কোনো অনুমতি নেই। যারা এসব করার চেষ্টা করবে, তাদেরকে অবশ্যই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকবো।”

জহিরুল ইসলাম জয়

||আপডেট: ০৭:২১ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০১৫, রোববার

এমআরআর