অবশেষ চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ( টিএইচও) ডাঃ মুঃ বেলায়েত হোসেন কে কুমিল্লা জেলার দাউদ কান্দি শহীদনগরে ২০ শয্যা বিশিষ্ট ট্রমা কেন্দ্রে আর এম ও পদে বদলী করেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালী ঢাকা পরিচালক ( প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সামিউল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য পাওয়া যায়।
ডাঃ মুঃ বেলায়েত হোসেন হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করার পর থেকে হাসপাতের পরিবেশ সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়ে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে হাসপাতালে নানান অনিয়ম, বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অফিস চলাকালীন বাহিরে রোগী দেখাসহ অনিয়মিত উপস্থিত। এ সকল কারন হয়ে উঠেছে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ মুঃ বেলায়েত পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের কাছে হেরে গেছে বলে মনে করে সুশীল সমাজ।
চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার একমাত্র ভেলা হলো হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। উপজেলার চরাঞ্চালের গরীব ও অসহায় মানুষকে বিনা পয়সায় চিৎকিসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও চিকিৎসক ডাঃ মুহাঃ বেলায়েত হোসেন। পাল্টে দিয়েছেন হাসপাতালে পুরোচিত্র। ফিরিয়ে এনেছে হাসপাতালে নিয়ন-শৃঙখলা। চালু করেছেন সকল চিকিৎসক ও স্টাফদের ডিজিটাল হাজিরা, হাসপাতালকে নিয়ে এসেছেন সিসি ক্যামেরার আওতায়। এ সকল কর্মকান্ডে সুত্র ধরে ডাঃ মুহাঃ বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের কালো অধ্যায়।
তিনি যোগদান করার পর পরই হাসাপাতাল কে দালাল মুক্তি করতে গিয়ে স্বীকার ষড়যন্ত্রে। হাসপাতালের কিছু অসাধু স্টাফসহ বহিরাগত দালাল চক্রের যোগশাজেশে তার বিরুদ্ধে মিথ্যে সাজানো নাটক তৈরি করে টিএইচও সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। তারাই সাজানো নাটক হাইমচরবাসীর বুঝার কোন বাকী থাকে না। সরেজমিনে গিয়ে ও গোপন তথ্যভিত্তিতে অনেক তথ্য বের হয়ে আসে। হাসপাতালে অধিকাংশ চিকিৎসক নিয়মিত হাসপাতালে অবস্থান করতেন না, নিজেদের ইচ্ছা মাফিক ডিউটি পালন করতেন। হাইমচরের অসহায় মানুষের সেবা সঠিক সেবা প্রদানে প্রদেক্ষেপ গ্রহন করতে গিয়ে তার পিছনে নারী সংক্রান্ত তথ্য এনে ষড়যন্ত্রের লিপ্ত হয়। হাইমচর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে সুবিধা ভোগি দালালচক্র হাসপাতাল থেকে সুবিধা বঞ্চিত হওয়ার পর পর টিএইচও বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার ও মিথ্যে অপবাদ দিয়ে তথ্য ও সংবাদ পরিবেশন করায়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বৃদ্ধা জানান বহু দিন ধরে হাসপাতাল থেকে ঔষধ নেই বাজান, এর আগে ঔষধের জন্য দাড়িয়ে থাকতে হয়। আজ এসে দাড়িয়ে থাকতে হয় নি, তাড়াতাড়ি ঔষধ নিয়ে যাইতে পারলাম। হাসপাতালে আগে ময়লার গন্ধে থাকতে পারতে না এখন পরিবেশ টা ভাল হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টিএইচও ডাঃ মুহাঃ বেলায়েত হোসেন জানান আমি হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদানের পর থেকে চেষ্টা করে আসছি হাইমচর উপজেলার অসহায় পরিবারের লোকজনের। আমি আমার পক্ষ থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি কোন মানুষ বিনা চিকিৎসা মারা না যায়। আমার বিরুদ্ধে কে কি বলছে তা আমার যায় আসে না। আমি সৎ থাকলে কোন ষড়যন্ত্র আমাকে কিছুই করতে পারবেন না। আমার পাশে হাইমচরের অসহায় গরীব চিকিৎসা বঞ্চিত মানুষ রয়েছে।
প্রতিবেদক: বিএম ইসমাইল, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২