Home / শীর্ষ সংবাদ / হাইমচর ইউএনও’র বিরুদ্ধে বন্যার্তদের ত্রাণ জালিয়াতির অভিযোগ
হাইমচর ইউএনও’র বিরুদ্ধে বন্যার্তদের ত্রাণ জালিয়াতির অভিযোগ

হাইমচর ইউএনও’র বিরুদ্ধে বন্যার্তদের ত্রাণ জালিয়াতির অভিযোগ

চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামালের বিরুদ্ধে ইউনিয়নে বন্যার্তদের বরাদ্ধকৃত ত্রাণের চাল হতে অর্থ দাবিসহ জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন নীলকমল ইউপি নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ সরদার।

অভিযোগ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল জানান ‘সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান আমার লেভেলের লোক নয়, জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডায়রি একটি গুজব মাত্র।’

ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক ইউএনও এর বিরুদ্ধে আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগ নিয়ে এলাকাজুড়ে বেশ চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

বুধবার (১৭ আগস্ট) ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদ সরদার হাইমচররের কর্মরত সাংবাদিকদের জানান, ‘বন্যায় আক্রান্ত ৫৩৮ পরিবারের মাঝে ৫.৩৮০ মেট্টিকটন চাল বরাদ্ধ হয়, বরাদ্ধকৃত চাল হতে ‘২ মেট্টিকটন’ চালের মূল্য ‘খরচ বাবদ’ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ‘মৌখিকভাবে’ তাঁর কাছে দাবি করেন।’

ইউএনও এর অবৈধ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ‘শিষ্টাচার বহির্ভুতভাবে’ বরাদ্দপত্রে ‘অনৈতিক শর্ত’ জুড়ে দেয়া হয়।

তাঁর দাবি ‘উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা একজন লোভী প্রকৃতির লোক। জেলেদের চাল বিতরণে ‘জনপ্রতিনিধিদের বাইপাস করে’ ৩য় শ্রেণির কর্মচারিদের ট্যাগ অফিসার (তদারক কর্মকর্তা) ‘নিয়োগ’ করে প্রতি বরাদ্দে লাখ টাকার চাল বিক্রি করে ‘জেলেদেরকে ঠকিয়েছেন’। হত দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্প সভাপতিদের জিম্মি করে তাঁর ইউনিয়ন হতে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখানেই ক্ষান্ত হননি। এ প্রকল্পে মেরামত বাবদ ৩ লাখ টাকা কোন কাজ না করেই তার লোক দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।’

এ চেয়ারম্যানের আরো দাবি, ‘শুধু নীলকমল ইউনিয়নই নয়, আরো ৬ ইউনিয়নে তার লালিত দালাল প্রকৃতির ট্যাগ অফিসার এর মাধ্যমে জেলেদের চাল হতে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। ’

চেয়ারম্যান আরো জানায়, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে এসকল অপকর্মের প্রতিবাদ করলেও ইউএনও সাহেব ধমক দিয়ে বলেন আপনি এখনো অফিসিয়াল দায়িত্ব পাননি তাই এ বিষয়ে নাড়াচাড়া করবেন না। সর্বশেষ আমি দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর সম্প্রতি বন্যা আক্রান্তদের জন্য ১১ আগস্ট ৫.৩৮০ মেট্টিকটন বরাদ্ধকৃত চাল হতে ২টন বিক্রি করে তাকে টাকা দেয়ার জন্য দাবি করেন। ’

‘সে শর্তে রাজি না হওয়ায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বরাদ্ধপত্রে শিষ্টাচার বহির্ভুত আপত্তিকর শর্ত জুড়ে দেন।’

বিষয়টি তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান, হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ, হাইমচর প্রেসক্লাব সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, সহকর্মী জনপ্রতিনিধিদের অবগত করেছেন বলে জানান।

এছাড়া স্ব-শরীরে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসকেরর কার্যালয়ে গিয়েও তিনি অভিযোগ করেছেন।

এদিকে অভিযোগের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা তাঁর অপকর্ম ঢাকতে আমাকে হুমকি-ধমকিসহ আমার বিরুদ্ধে এলাকায় এবং বিভিন্ন মহলে গুজব ছড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সর্দার।

অভিযোগ বিষয়ে হাইমচর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, ‘সালাউদ্দিন চেয়ারম্যান আমার লেভেলের লোক নয়। তার সাথে আমার কিসের সমস্যা? জেলা প্রশাসকের কাছে কি অভিযোগ করেছে আমি জানি না। সাংবাদিকরাই ভালো বলতে পারে। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রি সম্পূর্ণই গুজব, এমন কিছুই হয়নি।’

হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মাহবুবুর রহমান চাঁদপুর টাইমসকে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দ্বন্দ্ব নিয়ে মৌখিকভাবে শুনেছেন তবে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়রি কেউ করেনি বলে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৩:৩০ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০১৬, বৃহস্পতিবার
ডিএইচ

Leave a Reply