চাঁদপুর হাইমচরে দীর্ঘ ১৫ মাস পর শিশু মারজান হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার গভীর রাতে শরীয়তপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, গত ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চাঁদপুরে হাইমচরের দুর্গম চর ঈশানবালা বাজারের পাশের একটি ডোবা থেকে শিশু মারজানের (৯) লাশ উদ্ধার করা হয়। তখন এমন ঘটনা জ্বিন-ভুতের কাজ বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বাবা মকসুদ হাওলাদার মেয়ের এভাবে মৃত্যু মেনে নিতে রাজি ছিলেন না। তখন হাইমচর থানায় ঘটনার প্রতিকার চেয়ে মামলা করেন। কিন্তু থানা পুলিশও কোনো কিনারা করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত মামলাটির তদন্তভারের দায়িত্ব নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।

ঘটনার দীর্ঘ ১৫ মাস পর এ সফলতা পান এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে আসামি নান্নু চৌকিদারকে শরীয়তপুর থেকে গ্রেপ্তার করেন তিনি।
এ ব্যাপারে রেজাউল করিম জানান, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে ধর্ষণ শেষে গলা টিপে মারজানকে হত্যা করে সে। অভিযুক্ত নান্নু চৌকিদার ঈশানবালা এলাকার ছত্তর চৌকিদারের ছেলে। আজ মঙ্গলবার অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছ
আরও পড়ুন… হাইমচরের শিশু মারজানা খুনের রহস্য এক বছরেও আলোর মুখ দেখেনি
এদিকে শিশু সন্তান মারজান হত্যার মূল আসামি গ্রেপ্তার হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন দর্জি দোকানী মকসুদ হাওলাদার। তার এখন একটাই প্রত্যাশা, অভিযুক্তের যেনো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়।
প্রসঙ্গত, ঈশানবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল নিহত মারজান। চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় ছিল সে।
এ সংক্রান্ত আগের প্রতিবেদন- হাইমচরে স্কুলছাত্রীর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় দাফন
করেসপনেডট,১০ মার্চ ২০২০
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur