হাইমচর উপজেলার ৪নং নীলকমল ইউনিয়নের মধ্যচরে নেপালকান্দিতে মেয়েকে ধর্ষণ থেকে বাঁচাতে গিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির হামলার শিকার হয়েছেন মেয়েটির বাবা ।
অভিযুক্ত সেলিম চকিদার মেয়েটির বাবা বাদশা মিয়া নেপালকে মেরে গুরুতর আহত করেছেন। আহত বাদশা মিয়া বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মেয়েটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ( ২১ এপ্রিল) রাত ১১টায় হাইমচরের নীলকমল ইউনিয়নের মধ্যচরের নেপালকান্দির অসহায় বাদশা মিয়া নেপাল পরিবার পরিজন নিয়ে রাতে গরমের কারণে ঘরের জানালা খুলে ঘুমাচ্ছিলেন। পাশ্ববর্তী বাড়ির মৃত আজহার চকিদারের ৪ সন্তানের জনক সেলিম মিয়া চকিদার জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে জড়িয়ে ধরলে মেয়েটি চিৎকার দেয়। এসয় তার পিতা সেলিম মিয়াকে হাতেনাতে ধরে পেলে।
ওই সময় সেলিম মিয়া নিজেকে বাঁচানোর জন্য বাদশা মিয়ার উপর চড়াও হয়ে হাতের টস লাইট দিয়ে এলাপাতাড়ি মারতে থাকে। বাদশা মিয়ার চিৎকার এলাকার লোকজন জড়ো হয়ে সেলিমকে আটক করে। এসময় তার স্ত্রীর জিম্মায় পরবর্তীতে বিচারের আশ্বাস দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
অসহায় বাদশা মিয়া মেয়ের ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে তার দুই হাত ও এক পা আঘাত প্রাপ্ত হয়।
বর্তমানে টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা ও পরিবার পরিজনের মুখে খাবার দিতে পারছেন না।
অপর দিকে ধর্ষিতার অভিযুক্ত সেলিম মিয়া চকিদার স্ত্রী, সন্তান পরিজন নিয়ে আত্মগোপন করে আছেন।
এ ব্যাপারে আহত বাদশা মিয়া চাঁদপুর টাইমসকে জানান ওই দিন রাতে আমাদের ছেলে মেয়ে নিয়ে ঘরে ঘুমাচ্ছিলাম। সেলিম চকিদার জানালা দিয়ে ঘরে ঢুকে আমার মেয়েকে ইজ্জত নষ্ট করার জন্য চেষ্টা করলে আমার মেয়েদের চিৎকারে আমি তাকে হাতেনাতে ধরি। সে বাঁচার জন্য আমারে ওপর হামলা করে আমাকে গুরুতর আহত করে। আমি প্রশাসনের নিকট আমার মেয়ের ইজ্জত হানি ও আমার উপর হামলার বিচার দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা বাদশা মিয়া হাইমচর থানায় একটি অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
হাইমচর প্রতিনিধি : আপডেট ৬:৩০ এএম, ২৪ এপ্রিল ২০১৬, রোববার
ডিএইচ