হাইমচর উপজেলার নীলকমল নৌ-পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে জাটকা পাচারকারী চক্র। জাটকা পাচারকারীদের হামলায় নৌ-পুলিশ এসআই শফিউল্লাহ গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নৌ-পুলিশ এস আই শফিউল্লাহ বাদী হয়ে হাইমচর থানায় মামলা দায়ের করেন।
১২ মার্চ শুক্রবার সন্ধা ৭-৮ টার দিকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নে অবস্থিত নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সফিউল্লাহ জাটকা পাচারের সংবাদ পেয়ে খোরশেদ আলীর মোড়ে বালু ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ফকিরের নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন পিকআপ দিয়ে পথে বাঁধার সৃষ্টি করে।এস আই সফিউল্লাহ বাঁধা অতিক্রম করতে চাইলে সঙ্গবদ্ধ চক্র তার উপর হামলা চালায়। হামলার সংবাদ পেয়ে নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আব্দুল জলীল ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাইমচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রেরন করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন জানান, নৌ-পুলিশ ফাড়ির এস আই খোরশেদ আলীর মোড়ে যাওয়ার পথে বালু মহলের সামনে একটি পিকআপ রাস্তার উপর দাড় করিয়ে রাখে। এসআই পিকআপ সরাতে বললে কতিপয় লোক তার মটর সাইকেলের চাবি কেরে নিয়ে যায়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লোকজন পুলিশের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে এস আই সফিউল্লাহ জানান, জাটকা পাচারের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে বালুর মহল এলাকায় জাটকা পাচারকারী চক্র আইনের কাজে বাঁধা দিয়ে পথ রুদ্ধ করে। আমি পথ থেকে তাদের সরে যাওয়ার জন্য বললে আমার ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে নীলকমল নৌ-পুলিশ ইনচার্জ আব্দুল জলিল জানান,‘চরভৈরবী ইউনিয়নের খোরশেদ আলীর মোড়ে জাটকা পাচারের সংবাদ পেয়ে এসআই সফিউল্লাহসহ ফোর্স ঘটনাস্থলে যাওয়া পথে বাঁধা সৃস্টি করে তাদের উপর হামলা চালায়। বর্তমানে বিষয়টি আইনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম ফকির জানান,এস আই সফিউল্লাহ আমার বালুর মহলে এসে অকাথ্য ভাষায় গালমন্ধ করে। গালমন্ধ করায় আমি তার মটর সাইকেল থামিয়েছি। এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হলে আমি তা নিয়ন্ত্রণণ করি। নীলকমল নৌ-পুলিশ ইনচার্জ এসে এসআই সফিউল্লাহকে নিয়ে চলে যান। এখানে কোন ধরনের হামলার ঘটনা ঘটেনি।
মো.ইসমাইল হোসেন,১৩ মার্চ ২০২১