চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার মেঘনায় মর্মান্তিক ট্রলারডুবির ৬ষ্ঠ দিনে স্থানীয় ডুবরিরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৩ লাশসহ উদ্ধার করেছে রবিন ট্রলারটি। ট্রলারে আলেয়া বেগম, স্বর্ণা আক্তার ও মানিকসহ ৩টি লাশ পাওয়া গেছে। এছাড়াও আজ সকালে ১৭ মাসের শিশু ফাহিমের লাশ বরিশাল জেলার হিজলা থানার অন্তরবাম এলাকায় জেলেরা উদ্ধার করে। উপজেলা প্রশাসন লাশ দাফনের জন্য অভিভাবকদের ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করে।
গত ২৬ জানুয়ারি সকাল ৯টায় উপজেলার তেলির মোড় এলাকার মেঘনা নদীতে রবিন – ১ নামে একটি যাত্রীবাহী ট্রলার অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ঈশানবাল যাওয়ার পথে ঘন কুয়াশার কারণে তেলবাহী কার্গোর সাথে ধাক্কা লেগে নদীতে ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ৮ যাত্রী নিখোঁজ ছিল। গত ২৮ জানুয়ারি দুপুরে ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া যায় দুর্ঘটনাস্থলের পশ্চিম দিকে।
আজ ৩১ জানুয়ারি সকাল ১১টায় বরিশাল জেলার হিজলা থানার অন্তবাম নাসির মোল্লার আড়ত এলাকা হতে স্থানীয় জেলেদের জালে আটকে উদ্ধার হয় উপজেলার চরভৈরবী এলাকার জামাল বেপারীর ছেলে শিশু ফাহিম।
হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নুর হোসেন পাটওয়ারী ট্রলার মালিককে তার বাড়িতে ডেকে এনে স্থানীয়ভাবে ট্রলার উদ্ধারের তাকে আর্থিক সহায়তাসহ সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের আশ্বাস পেয়ে ট্রলার মালিক যোগাযোগ করে ডুবরিদের সাথে। সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পূর্বে স্থানীয় ডুবরিদের সহায়তায় সন্ধান পাওয়ার স্থান হতে ট্রলারটি উদ্ধার করলে ট্রলারের কেবিনে পাওয়া যায় ৩ লাশ। লাশ ৩টি হলো উপজেলার চরভাঙ্গা গ্রামের সালাউদ্দিন এর স্ত্রী আলেয়া বেগম (৩৫) তার মেয়ে স্বর্ণা আক্তার (৩) ও লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার কুচ্ছামারা গ্রামের মানিক (৪)। আলেয়ার অপর ছেলে সিয়াম (৭) এখনো নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলারসহ লাশ উদ্ধারের সংবাদ পেয়ে তেলিরমোড় এলাকার উৎসুক জনতার ভীড় জমে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিনুর রশিদ ৩ লাশের অভিভাবকদের কাছে লাশ দাফনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে তাৎক্ষণিক প্রদান করেন এবং লাশ হস্তান্তর করেন।
বি এম ইসমাইল, হাইমচর করেসপন্ডেন্ট
|| আপডেট: ০৭:৩৭ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০১৬, রোববার
এমআরআর