চাঁদপুরের হাইমচরের বিভিন্ন চরাঞ্চালের কর্মহীন দিনমজুর ও জেলে পরিবারের মাঝে হটলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করার সাথে সাথে পৌঁছানো হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। গত ৫এপ্রিল থেকে ২টি হটলাইনের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবীরা কলরিসিভ করে নির্ধারিত ঠিকানায় খাদ্য সমাগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন । এ জন্য ২৫টি মোটর সাইকেল দিয়ে এসব খাদ্য পৌছানোর কাজে নিয়োজিত ৫০জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবী ।
২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার পর্যন্ত গত ২৪দিনে প্রায় ৭ হাজার পরিবারে এ খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়।
কল সেন্টারের দায়িত্বে থাকা দীপু পাটওয়ারী বলেন, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অন্তত ৩০০ থেকে ৪০০জন আমাদের কল সেন্টারে ফোন দিয়ে থাকেন। আমরা তাদের নাম ঠিকানা ও মোবাইলের মাধ্যমে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেই। আর এটির উদ্যোগ নেন হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটোয়ারী।
হাইমচরের ছোট লক্ষ্মীপুর গ্রামের কর্মহীন হয়ে পড়া দিনমজুর সফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা ভয়ে ঘর থেকে বের না হয়ে খেয়ে না খেয়ে ছিলাম। তবে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী হটলাইনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করায় তিনি এই সুবিধা নেন।
হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, আমরা উপজেলা থেকে গত মার্চ মাসে প্রথম ধাপে হাইমচর উপজেলার ৬ ইউনিয়নের কর্মহীন হয়ে পড়া ২ হাজার ৭৫০ পরিবারে প্রায় ৩২ লাখ টাকার খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল,২ ডাল,২ কেজি আলু,২ কেজি পেয়াজ,২ কেজি আটা, ১ কেজি চিনি.১ কেজি লবন,১ কেজি তেলসহ অন্যান সামগ্রী প্রদান করি। কিন্তু এভাবে খাদ্য সহায়তা দিতে গিয়ে লোকজনের সমাগম ঘটায় সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখা কষ্টকর হয়।
এ জন্য পরবর্তীতে গত ৫ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ধাপে ২টি হটলাইনের মাধ্যমে ৫০জন স্বেচ্ছাসেবীর সহযোগিতায় বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। তবে আমরা হটলাইনে যোগাযোগকারী প্রতি পরিবারে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল , ২ কেজি আলু ও ১ কেজি পেয়াজ দিচ্ছি। যা এখনো চলমান রয়েছে। আমরা করোনা মহামারির শেষ সময় পর্যন্ত হাইমচরে এ খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখবো।
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, ২৮ এপ্রিল ২০২০