শীর্ষ সংবাদ

হঠাৎ শৈত্য প্রবাহে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আড়াই’শ রোগী ভর্তি

বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে গত ৩ দিনে প্রায় আড়াই,শ রোগী ভর্তি হয়েছে। এসব রোগীদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে। তবে বড়দের চেয়ে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার(১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় ওইসব বিভাগ গুলোর মধ্যে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেশি।

১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গত ৩ দিনে শিশু ওয়ার্ডে মোট ৮৬ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। মহিলা ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে সর্বমোট ৮৮ জন রোগী এবং পুরুষ ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে সর্বমোট ৭২ জন রোগী।

খবর নিয়ে জানা যায় চাঁদপুর জেলা শহরে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে এবং গত ৩ দিন ধরে হঠাৎ শৈত প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায়, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন দিনে হাসপাতালে নারী, পুরুষ ও শিশু সহ প্রায় আড়াই,শ রোগী ভর্তি হয়েছে। তবে এসব রোগীদের মধ্যে শিশুর রোগীর সংখ্যা বেশি। শিশু বৃদ্ধ সহ অধিকাংশ রোগীরাই নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

রোগীদের চাপে হাসপাতালের শিশু বিভাগের সবকটি বিছানা পূর্ন হয়ে মেঝেতে ও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। এসব শিশু রোগীরা জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিচুনী এবং নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এছাড়া ও অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা হাসপাতালে নিয়ে এসে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে যান।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ সুজাউদদৌলা রুবেল এবং ডাঃ মোঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে আলাপকালে তারা বলেন আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে বৃদ্ধ এবং শিশুরা হঠাৎ,নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন।

এছাড়াও অনেকে জ্বর, সর্দি, কাশি সহ, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। হঠাৎ করে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ার কারনে শিশুরা এবং বৃদ্ধরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে তারা জানান।

তবে শৈত প্রবাহে শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে। যখন প্রচন্ড ঠান্ডা পড়বে তখন সবাইকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। শীতের সময় গরম কাপড় পরিধান করতে হবে, তবেই বৃদ্ধ এবং শিশুরা অনেকটা ভালো থাকবে।

প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি

Share