সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডা.দীপু মনি এম.পি বলেছেন,‘১৬ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবায় শুধু সরকারের পক্ষে একা সম্ভব নয়। তাই সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান দ্বারা স্বাস্থ্য সেবা প্রদান প্রয়োজন। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে যে মায়ের সন্তানরা এলাকার সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কথা ভেবে কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণিস্টিক সেন্টার নির্মাণ করেছেন আমি তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই । এটি শুধু এলাকারই নয় গোটা চাঁদপুরবাসীকেও স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাবে।’
তিনি চাঁদপুর সদরের সাড়ে ৩ কি.মি.উত্তরে তরপুরচন্ডী ইউনিয়নে কাজী পাড়ায় বিটি সড়কের পাশে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণিস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন কালে এ কথাগুলো বলেন ।
তিনি আরো বলেন,‘ সরকার গ্রামের প্রতি ৬ হাজার হতদরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে ৩০ প্রকারের ঔষধ প্রদান করে মানুষের স্বাস্থ্য সেবা পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ বেসরকারি কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণিস্টিক সেন্টারটিও এলাকার পল্লী জনগণের স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাবে ।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড.মোহাম্মদ মামছুল হক ভূঁইয়া এম.পি,চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পি পি এম, ও সিভিল সার্জন ডা.মতিউর রহমান ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপত্বি করেন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণিস্টিক সেন্টার ও ঢাকাস্থ প্রিন্স গ্রূপের চেয়ারম্যান আলহাজ কাজী রুহুল আমিন । অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন ঢাকাস্থ প্রিন্স গ্রূপের এরিয়া ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল মামুন।
কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণিস্টিক সেন্টারটি ৯৯ শতাংশ ভূমির ওপর তিন-তলা ভবনে ইতোমধ্যেই দু’কোটি টাকা ব্যয়ে বেসরকারিভাবে নির্মিত হয়েছে। ৩০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটি লজ্জাতুন্নেসা ফাউন্ডেশন নামক একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।
১১ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি কমিটি কর্তৃক পরিচালিত হবে।যার পথচলা শুরু আজ (৭ সেপ্টম্বর) । কল্যাণপুর,তরপুরচন্ডী ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নসহ প্রায় দু’লাখ পল্লী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতালটি অত্যাধূনিক স্বাস্থ্যসেবায় সবরকম ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে শিশু,সার্জিক্যাল,গাইনী,সেডিসিন,এন্যাসথিশিয়া বিশেষজ্ঞ দ্বারা পরিচালিত হবে।
ফার্মেসী,আউটডোর,ইনডোর,ডেলিভারী,প্যাথলজিক্যাল,ডায়াগণস্টিক,ইসিজি,এক্সরে,ওটি প্রভৃতি সেবা থাকছে। দু’জন পুরুষ ও মহিলা চিকিৎসক, ৫ জন নার্স, ১০ জন আয়া ও ১ জন ফার্মসিস্ট সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত থাকবেন। কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগণিস্টিক সেন্টারটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী রুহুল আমিন,ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মো.হেলাল উদ্দিন ও ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ।
উদ্বোধনের পরের দিন থেকে স্বাস্থ্যসেবায় ১ মাস পর্যন্ত বিনামূল্যে আউটডোর সেবা দেয়া হবে। এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের স্বল্পখরচে স্বাস্থ্যসেবা দেয়াই এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য । এর পাশাপাশি এখানে একটি এতিমখানা,বাজার ও একটি মসজিদ পরিচালিত পরিচালিত হবে।
অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের সাংবাদিক, স্থানীয় আ’লীগ নেতৃবৃন্দ,লজ্জাতুন্নেসা ফাউন্ডেশন ও ঢাকাস্থ প্রিন্স গ্রূপের শীর্ষ কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনৈতিক ব্যক্তি,মহিলা ও সুধিজন উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবেদক :আবদুল গনি
আপডেট,বাংলাদেশ সময় ৩:০০ পিএম,৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭,বৃহস্পতিবার
ডিএইচ