চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক :
প্রতারণা করে বিয়ের পর স্বামী ও শ্বশুরালয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহবধূ নারগিস আক্তার হাসপাতালেরর বেডে শুয়ে এখন শুধু মুক্তির প্রহর গুণছে। মানসিক রোগি স্বামীর অবহেলার সুযোগে দেবর, ননদ ও জা-এর হাতে নিগৃহীত ও নির্যাতিত নারগিস বাঁচতে প্রশাসন ও আইনের আশ্রয় কামনা করছে।
নারগিস আক্তার জানায়, সদর উপজেলার মৈশাদী গ্রামের মৃত জুলফিকার আলী খানের ছেলে সাবি্বর আহমেদ ফুটন খানের সাথে পারিবারিকভাবে ২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বরপক্ষ ছেলের ভারসাম্যহীনতার কথা গোপন রাখে। বিয়ের পর তাদের এ প্রতারণা জানতে পারলেও সামাজিক মর্যাদার কারণে নার্গিস আহমেদের পরিবারের পক্ষ থেকে সাবি্বর আহমেদকে সুস্থ করতে সহযোগিতা করা হয়। স্বামীর উদাসীনতার কারণে সাবি্বরের ভাই ও ভাবীরা তাকে দিয়ে সংসারের যাবতীয় কাজ করাতেন। কোনো কাজের বিষয়ে সমস্যা হলে তাকে মারধর করা হতো। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সালিস দরবার হয়। নারগিসের দেবর মনিরুজ্জামান ঝুটন ও তার স্ত্রী সুমি আক্তার তাকে প্রায়ই মারধর করে । গত ১৮ আগস্ট দুপুরে নারগিসের স্বামীর সামনেই ঝুটন ও তার স্ত্রী লাঠি সোটা দিয়ে তাকে মারধর করে । এতে তার মাথায় রক্ত ক্ষরণ হয়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তার বাবা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করায়। তার পরিবারের পক্ষ থেকে চাঁদপুরের আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।