কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ভৈরবপুর উত্তর ঈদগাহসংলগ্ন এলাকায় আজ শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে।
নির্যাতিত গৃহবধূ স্মৃতি বেগম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী মোমেন মিয়া পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে আপন চাচাতো ভাইবোন মোমেন ও স্মৃতির বিয়ে হয়। বিবাহিত জীবনে তাদের সংসারে মৌসী নামের সাড়ে তিন বছরের একটি মেয়েসন্তান আছে। বিয়ের সময় মোমেন একটি ইলেকট্রনিকসের শোরুমে বিক্রেতা হিসেবে চাকরি করতেন। মেয়ের সংসারে সচ্ছলতা ফেরাতে পোস্টম্যান বাবা আলমগীর হোসেন সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে বিয়ের কিছুদিন পর কাতারে পাঠান মোমেনকে। সেখানে থাকা অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে দেশের এক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন মোমেন।
কিছুদিন আগে দেশে ফিরে এসে ওই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ও সম্পর্ক স্থাপনকে নিয়ে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য এবং একপর্যায়ে তা ঝগড়ায় পরিণত হয়। মোমেন প্রায়ই স্মৃতিকে শারীরিক নির্যাতন করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে নিজকক্ষে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের পর স্মৃতির মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেন মোমেন। পরে স্মৃতির চিৎকারে পরিবারের লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ভৈরব বাজার ডাকঘরের কর্মচারী আলমগীর হোসেন মেয়ের ওপর অত্যাচারের সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করেছেন। এ বিষয়ে ভৈরব থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম তালুকদার জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ পাঠিয়ে নির্যাতিতার খোঁজখবরসহ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নির্যাতিতা বা তাঁর পরিবারের কেউ অভিযোগ দাখিল করা মাত্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদপুর টাইমস নিউজ ডেস্ক ||আপডেট: ০৮:২৩ অপরাহ্ন, ১৯ মার্চ ২০১৬, শনিবার
এমআরআর