Home / জাতীয় / রাজনীতি / স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী সোহেল রানার জনপ্রিয়তার রহস্য কী?
স্বতন্ত্র কাউন্সিল

স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী সোহেল রানার জনপ্রিয়তার রহস্য কী?

ঢাকা সিটি নির্বাচনের বাকী আছে আর মাত্র ৫দিন। শেষ মহুর্তে ভোটারদের মন জয় করতে প্রার্থীরা দিবানিশি প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ নির্বাচনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থী সোহেল রানা। নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন ব্যাডমিন্টন প্রতীক নিয়ে।

দলীয় পদ-পদবী না থাকলেও নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ভোট চাইতে তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। বিশেষ করে ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকাতেই তার গণসংযোগ ও পথসভাতে যুবসমাজের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্যনীয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল রানার এ জনপ্রিয়তার রহস্য কী? এমন প্রশ্ন স্থানীয় জনগণের।

এদিকে আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর বাইরে এ তরুণ দেখাতে পারেন বিশেষ চমক এমনটাই মনে করেন তার অনুসারী ভোটাররা।

স্থানীয় জনগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, রাজধানীর নূরজাহান রোডে বেড়ে উঠা সোহেল রানা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। অতীতে ৩১নং ওয়ার্ডে সমাজিক কর্মকান্ডে ছিলো তার ব্যাপক অংশগ্রহণ। কিশোর বয়সেই বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। বিশেষ করে ইট পাথরের এ শহরকে মানুষের বসবাস উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে ৩১ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকাতে তার বৃক্ষরোপন কর্মসূচি জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তিনি ছিন্নমূল পথ শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে প্রতিষ্ঠা করেন একটি ছিন্নমূল পাঠশালা। শীতে গরীব অসহায় মানুষের কষ্ট দূর করতে তিনি শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

এছাড়া ওয়ার্ডবাসীর দুর্ভোগ লাঘোবে সুয়ারেজ লাইন পরিষ্কারের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু রোগের বিস্তার রোধে এডিস মশার বংশবিস্তার বন্ধে তিনি সচেতনতামূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। শুধু সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মধ্যেই তিনি নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত অসংখ্য রোগীর জন্য রক্তের স্বেচ্ছায় রক্তদানের ব্যবস্থা করেন। এছাড়া ওয়ার্ডবাসীর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাশে ছিলেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রার্থীতা নিয়ে সোহেল রানার কথা হয় এ প্রতিনিধির সাথে। ওয়ার্ডের জনগণের উন্নয়ন নিয়ে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান তার নানা পরিকল্পনার কথা।

চাঁদপুর টাইমসকে তিনি বলেন, মাদক বর্তমান সমাজে সবচেয়ে বড় সমস্যা। মাদক বন্ধে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি আমি মাদকাসক্ত ছেলে মেয়েদেরকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে আলোর পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবো। এছাড়া এখানে যে পার্ক ছিলো তা বিভিন্ন প্রভাশালী ব্যক্তিরা দখল করে সুপার মার্কেটে পরিনত করেছে। সুন্দর ও পরিকল্পিত নগর গড়তে এ পার্কগুলো উদ্ধারে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, কিশোর গ্যাং ও ইভটিজিং প্রতিরোধে বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছি। ওয়ার্ডে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে আমার বিশেষ নজর থাকবে। ওয়ার্ডের জননিরাপত্তায় সমস্ত ওয়ার্ডে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও চুরি-চিনতাই রোধে আধুনিক পরিকল্পনা রয়েছে।

এছাড়া পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকেট সমস্যা সমাধানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মাদকাসক্তদের পুর্নবাসনের লক্ষ্যে মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপন করবো। পাড়া মহল্লার খেলার মাঠগুলোকে অবমুক্ত করে দেবো।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন. ‘ভালো মানুষেরা এক হলে বদলে যাবে সমাজ। আমার বিশ্বাস পহেলা ফেব্রুয়ারী ভোটাররা দলমতের উর্ধ্বে উঠে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আমাকে ব্যাডমিন্টন প্রতীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।

উল্লেখ্য, ৩১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। এ ওয়ার্ডে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ৩৩ হাজার ১৯৩ জন।

আতাউর রহমান সোহাগ