Home / খেলাধুলা / পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ
tiger-asia-cup
ফাইল ছবি

পাকিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

মুশফিকের ১ রানের আফসোসের ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল বাংলাদেশ। শিরোপার জন্য তারা লড়বে ভারতে বিপক্ষে। পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২০২ রান।

বাংলাদেশকে ২৩৯ রানে বেঁধে ফেলে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা কিছুটা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিল। ভেবেছিল এই রান টপকানো তাদের জন্য খুব একটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার নয়। কিন্তু প্রতিপক্ষ দলটি যে বাংলাদেশ, যে কোনো দলের বিপক্ষেই ভালো কিছু করার সামর্থ্য তাদের রয়েছে। শুরুতেই তিন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে সেই প্রমাণও দিয়েছে তারা। এর পর ইমাম-উল হকের দৃঢ়তায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে।

কিন্তু তাতে আশায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে বাংলাদেশের বোলাররা। কোনোভাবেই পাকিস্তানকে দাঁড়াতে দেয়নি।

অবশ্য দলীয় মাত্র ১৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপেই পড়েছিল পাকিস্তান। এর পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে কিছুটা দৃঢ়তা দেখান শোয়েব মালিক ও ইমম-উল হক। দুজনে মিলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন। তখনই মাশরাফির দুর্দন্ত এক ক্যাচে সাজঘরে ফিরেন শোয়েব (৩০)। কিছুক্ষণের মধ্যে প্যাভিলিয়নে ফিরেন শাদাব খানও (৪)।

পরে ইমাম ৮৩ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে দলকে কিছুটা এগিয়ে নিয়েছিলেন। তাঁকে যোগ্য সহায়তা দেন আসিফ আলী (৩১)। কিন্তু দুজনেই ফিরে গেলে আবার বিপদে পড়ে দলটি।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি, দলীয় মাত্র ১২ রানে তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপরই চতুর্থ উইকেট জুটিতে মুশফিক ও মিঠুন ১৪৪ রানের জুটি গড়ে দলকে একটা ভালো সংগ্রহের পথ দেখান। মিঠুন ৬০ রান করে ফিরে গেলেও দলকে অনেকটাই এগিয়ে নেন মুশফিক। কিন্তু মিস্টার ডিপেনডেবল খ্যাত এই বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরির একেবারেই কাছাকাছি গিয়েও ৯৯ রান করে আউট হয়ে যান। অল্পের জন্য ক্যারিয়ারের সপ্তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন তিনি।

তবে সেঞ্চেুরি না পেলেও দলকে একটা ভালো সংগ্রহ গড়ে দিতে মূল্যবান অবদান রাখেন মুশফিক। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ২৫ ও মাশরাফি শেষ দিকে এসে ১৩ রান করেন।

দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে সৌম্য সরকার শূন্য রানে ফিরে গেছেন শুরুতেই। আর মুমিনুল পাকিস্তানি পেসার শাহীন আফ্রিদীর শিকার হয়ে ফেরার আগে করেন পাঁচ রান। লিটন ছয় রান করে আউট হন। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি ইমরুল কায়েসও (৯)।

এদিনের ম্যাচে সবচেয়ে বড় চমক ছিল বাংলাদেশ একাদশে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের না থাকা। চোটের কারণে বাইরে রাখা হয়েছে তাঁকে। তাঁর বদলে দলে নেওয়া হয় মুমিনুল হককে।

নাজমুল হোসেন শান্তর বদলে দলে সুযোগ পান সৌম্য। পেসার রুবেল হোসেন ফিরেন নাজমুল ইসলাম অপুর জায়গায়।

বাংলাদেশ লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মুমিনুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিয়ানায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন।

পাকিস্তান ইমাম-উল-হক, ফখর জামান, বাবর আজম, সরফরাজ আহমেদ, শোয়েব মালিক, আসিফ আলী, শাদাব খান, মোহাম্মদ নাওয়াজ, হাসান আলী, জুনাইদ খান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি।