সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দুতাবাসে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিজয় দিবস-২০১৮ উদযাপিত হয়েছে। রিয়াদের ডিপ্লোম্যটিক কোয়ার্টারে বাংলাদেশ দূতাবাসের নব-নির্মিত চ্যান্সেরি ভবনে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়। সকালে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম শুরু করেন। এ সময় রিয়াদের নানা পেশা ও শ্রেণীর প্রবাসী বাংলাদেশীগণ ও দূতাবাসের কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে আজ রিয়াদে বাংলাদেশের নবনির্মিত নিজস্ব ভবনে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়েছে, যাতে সৌদি আরবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। তিনি নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে এগিয়ে আসার জন্য আহবান জানান।
গোলাম মসীহ, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে বলেন, প্রবাসীদের যেকোন প্রয়োজনে দূতাবাস পাশে রয়েছে। প্রবাসীদের সন্তানদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির স্কুলের জন্য খুব শীঘ্রই নিজস্ব জায়গা ক্রয় করে ভবন তৈরির কাজ শুরু করা হবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অবস্থায় রয়েছে, আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মিশন উপ প্রধান ড. নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের উন্নয়ন ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের ভূমিকা সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হচ্ছে। পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রো রেল প্রকল্প, রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মহাকাশে স্যাটেলাইট নিক্ষেপ আজ বাংলাদেশের সক্ষমতাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে দূতাবাসের মিনিস্টার আনিসুল হক ও বক্তব্য প্রদান করেন। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে দূতাবাসের ইকোনমিক মিনিষ্টার ডক্টর আবুল হাসান, শ্রম উইং এর প্রথম সচিব আসাদুজ্জামান, কাজী নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ বশির । বক্তব্য রাখেন কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ।
আলোচনার শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানস্হলে বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল সেন্টার বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।
প্রতিবেদক:সাগর চৌধুরী
১৭ ডিসেম্বর,২০১৮