ডিস্ট্রিক্ট করেপন্ডেন্ট, কুমিল্লা | আপডেট: ১০:০০ অপরাহ্ণ, ১২ আগস্ট ২০১৫, বুধবার
কাগজপত্রের জটিলতায় দেশের মাটিতে সমাহিত হবে না সৌদিআরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুমিল্লার বুড়িচংয়ের হুমায়ূন কবির (৩০) নামে কুমিল্লার এক প্রবাসীর মরদেহ। নিহত হুমায়ূন কবিরের পরিবারের সদস্যরা আইনি জটিলতার ভয়ে ইতোমধ্যেই মরদেহ দেশে আনার আশা ছেড়ে দিয়েছেন।
সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় সৌদিআরবের তায়েফ শহরে এ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান হুমায়ুন কবীর। এঘটনায় আহত হয়েছেন একই এলাকার আরো তিন জন।
নিহত হুমায়ূন কবির বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ভাদুয়াপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাতে বন্ধুদের সঙ্গে প্রাইভেটকার যোগে রিয়াদ থেকে তায়েফ যান। সেখান থেকে ফেরার পথে প্রাইভেটকারের চাকা বিকল হয়ে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান হুমায়ূন কবির।
এ সময় আহত হন প্রাইভেটকারে অপর তিন আরোহী। আহতদের সবাই কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের আকবপুর গ্রামের অধিবাসি। আহতদের নাম মো. হানিফ, মো. শাহ আলম ও মো. হারেছ। আহত একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সূত্র জানায়, ভাদুয়াপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের দুই ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে হুমায়ূন কবির তৃতীয়। হুমায়ূন কবির দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানের জনক। তার সন্তানদের নাম- যথাক্রমে নাহিদুল ইসলাম ছাকিব (১১), হুমায়রা কবীর ছাবা (৪) এবং মিহাদুল ইসলাম আকিব (১)।
নিহতের পারিবারিক সূত্র ও স্বজনরা জানান, প্রায় ১৪ বছর আগে শ্রমিক হিসেবে সৌদিআরবে যান হুমায়ূন। এর মধ্যে ৪-৫ বার ছুটিতে দেশে আসেন। গত ১১ মাস আগেও তিনি দেশে আসেন।
তবে মৃত্যুর পর তার মরদেহ আর দেশের মাটিতে সমাহিত হবে কি না এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই সৌদিআরবে কাগজপত্রের জটিলতায় নিহত হুমায়ূন কবিরের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার আশা ছেড়ে দিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে কর্মসংস্থান ও জনশক্তি জেলা কার্যালয়ের এমএসও মো. বশির জানান, এ ব্যাপারে তাদের কাছে এ ধরনের কোনো তথ্য নেই। নিহতের পরিবারও তাদের সাথে কোনোপ্রকার যোগাযোগ করেননি। তবে সৌদিতে নিহত কোনো ব্যক্তির মরদেহ ফেরতের বিষয়টি কতোটা জটিল এ বিষয়ে জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা জানান, এটি তেমন কোনো জটিল প্রক্রিয়া নয়। আমাদের সাথে যোগাযোগ করলেই আমরা এ ব্যাপারে সহায়তা প্রদান করবো।
চাঁদপুর টাইমস : প্রতিনিধি/এমআরআর/২০১৫