Home / সারাদেশ / সেপ্টেম্বরে ৪ শ ৬৭টি দুর্ঘটনা, নিহত ৪ শ ৯৬ জন
দুর্ঘটনা

সেপ্টেম্বরে ৪ শ ৬৭টি দুর্ঘটনা, নিহত ৪ শ ৯৬ জন

বিগত সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক, নৌ ও রেলপথে ৪ শ ৬৭টি দুর্ঘটনায় ৪ শ ৯৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬ শ ৮১ জন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনটি বলছে, এ মাসে ৪ শ ২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ শ ১৭ জন নিহত ও ৬ শ ৫১ জন আহত হন। রেলপথে ৪৯টি দুর্ঘটনায় ৫১ জন নিহত ও ২৬ জন আহত হন এবং নৌপথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২৮ জন নিহত ও ৪ জন আহত হন।

৭ অক্টোবর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবেদনটি পাঠান যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক। জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর হার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। ১শ ৫৩টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১শ ৭২ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় ১ শ ৭ জন আহত হয়েছেন, যা দুর্ঘটনার ৩৮ %,নিহতের ৪২ % এবং আহতের ২৬ % ।

এ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। সেখানে ১শ ১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১শ ১৮ জন নিহত ও ১শ ১২ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে। সেখানে ২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯ জন নিহত ও ১ শ ৬ জন আহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এ মাসে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৩৭ % জাতীয় মহাসড়কে, ২৭ % আঞ্চলিক মহাসড়কে,২৯ % ফিডার রোডে হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ % ঢাকা মহানগরীতে, ০.৪৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ০.২৪ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে- ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম-দুর্নীতি বৃদ্ধি; মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানবাহনের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল; সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা। রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার।

এছাড়া দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ চলতি বর্ষায় সড়ক মহাসড়কের ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি; যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি এবং অদক্ষচালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বেশকিছু সুপারিশও করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এগুলোা হচ্ছে- মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; দক্ষচালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান; রাতের বেলা বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা।

এছাড়া সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্ম ঘণ্টা নিশ্চিত করা; রাতের বেলা চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; চলতি বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার মাঝে সৃষ্ট ছোট-বড় গর্ত দ্রুত অপসারণ করা;গণপরিবহন বিকশিত করা,নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত নিশ্চিত করা ও নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা।

৮ অক্টোবর ২০২৩
এজি