সুন্দর-সুখী দাম্পত্যের জন্য স্বামী স্ত্রীর টিপস

সুখী দাম্পত্য জীবন সকলেই চায়। কিন্তু চাইলেই তো আর জীবনে সুখ পাওয়া যায় না। সুখী দাম্পত্য জীবন পেতে গেলে তার কতগুলি শর্ত মেনে চলতে হয়। এই শর্তগুলি মানলেই জীবন হয়ে ওঠে আনন্দময়। এক সংসারে থাকতে গেলে হাতা আর খুন্তির মধ্যে কিছু ঠোকা ঠুকি তো লাগবেই। কিন্তু তা বলে একসঙ্গে থাকব না বললে কীভাবে চলবে। ছোট ছোট কয়েকটি টিপস অনুসরণ করলেই আনন্দময় হয়ে ওঠবে দাম্পত্য জীবন।

রাগকে সঙ্গে করে বিছানায় যাবেন না : মাথা গরম তো সকলেরই হয়। কিন্তু তাই বলে এক মুখ রাগ নিয়ে বিছানায় গেলে কখনোই সুখের দেখা পাবেন না। তাই বিছানায় যাওয়ার আগেই নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করে তবেই বিছানায় যান।

একে অপরকে চিনুন : বিয়ের ক্ষেত্রে একে ওপরকে চেনাটা খুবই জরুরি। মতানৈক্য হতেই পারে। দুজন আলাদা মানুষ, তাদের আলাদা চিন্তা ভাবনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার জেরে যদি বাড়িতে কাক আর চিল বসতে না পারে তাহলে কিছুই করার নেই। তাই এক অপরের কথা শুনুন এবং পরে মাথা ঠান্ডা হলে অপরকে বুঝিয়ে বলুন দেখবেন ঝামেলা মিটে যাবে।

ক্ষমা করতে শিখুন : ভুল মানুষ মাত্রই হয়ে থাকে। তবে সেই ভুলটাকে ধরে বসে থাকবেন না। মাথা ঠান্ডা করে স্বামী অথবা স্ত্রীকে ভুলটা ধরিয়ে দিন। তারপর তাকে ক্ষমা করে দিন। ক্ষমা করার ওপরে কোনও কথাই থাকতে পারে না। ক্ষমা করার পর এই ভুল নিয়ে আর কখনো কোনও কথা বলবেন না। ভুলের কথা সম্পূর্ণভাবে ভুলে যান।

চুপ করে থাকতে শিখুন : চুপ করে থাকা একটা বড় কাজ। বিবাহিত জীবনে মাঝে মধ্যে চুপ করে থাকলে কিছুই যায় আসে না। তাই একজন বেশি কথা বললে নিজে একটু চুপ করে থেকেই দেখুন না কি হয়!

ছেলেরা বউয়ের নিয়ম মেনে চলুন : বিয়ের আগে মায়ের বারণ শোনেননি বলে যে বিয়ের পরে বউয়ের বারণকেও চোখ রাঙাবেন তা চলবে না। বাড়িতে বউয়ের বারণ শুনে চলবেন। ধরুন আপনার স্ত্রী ঘর গুছিয়ে রাখার বাতিক আছে। কিন্তু আপনি ঘর গোছানো থাকলে কোনও জিনিস ঠিক ঠাক খুঁজে পাননা। কিন্তু কি আর করবেন তার মতে কদিন চলেই দেখুন না। আস্তে আস্তে স্বভাব পরিবর্তন হয়ে যাবে আপনারও।

অফিসের কাজ বাড়িতে নয় : অফিসের কাজ কখনোই বাড়িতে করবেন না। অফিসের যাবতীয় চিন্তাভাবনা ফেলে আসবেন অফিসের মধ্যেই। তাকে সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে এসে নিজের কাছের মানুষদের ওপর রোজ ওই রাগ দেখালে আর দাম্পত্য জীবন টিকবে না।

বন্ধুত্ব বজায় রাখুন : বিয়ে করেই টিপিক্যাল স্বামী-স্ত্রীতে পরিণত হয়ে যাবেন না। দেখবেন দু’জনের মধ্যে যেন বন্ধুত্বটি বর্তমান থাকে। বন্ধুত্ব থাকলেই আর কোনও অসুবিধা হবে না।

দায়িত্ব নিতে শিখুন : বিয়ে করেছেন ঘরে মাকে সাহায্য করার জন্য বউ এনে দিয়েছেন বলেই সমস্ত দায়িত্ব নিজের গা থেকে ঝেড়ে ফেলবেন না। সব সময় পরিবারের সকলের দায়িত্ব নিজের। অফিসে কাজের দোহাই দিয়ে ইলেক্ট্রিকের বিল বা ব্যাংকের কাজ এড়িয়ে তা কখনোই বউয়ের ওপর চাপিয়ে দেবেন না।

মিথ্যা কথা বলতে শিখুন : বিবাহিত জীবনে সব সময় সত্যি কথা বলবেন না। কোনও ভালো কাজ করতে গেলে যদি মিথ্যে কথা একটু আধটু বলতেও হয় তাহলে কোনও ভুল হয় না। ধরুন আছেন বন্ধুদের সঙ্গে একটি পার্টিতে সেখানে বলতেই পারেন অফিসের একটা খুব জরুরি মিটিংয়ে আছেন।

বন্ধুদের সুখ্যাতি একদম নয় : নিজের পরম বন্ধুর সুখ্যাতি করা একদম ভুলে যান। বন্ধুকে নিজেদের ব্যাক্তিগত জীবনের মাঝখানে স্থান দেবেন না।

সারপ্রাইজ দিন : বিয়ের বহু বছর পরেও যাতে প্রেম আপনাদের কাছ থেকে দূরে সরে না যায় সে জন্য একে ওপরকে সারপ্রাইজ দিন। দেখবেন এই সারপ্রাইজের মাধ্যমেই আপনাদের মধ্যেকার প্রেম নতুন ভাবে জেগে উঠবে।

নিউজ ডেস্ক  ।। আপডেট : ০৮:০ এম, ০৯ ডিসেম্বর ২০১৫, বুধবার

ডিএইচ

Share