Home / ফিচার / সুখ আসলে কী, সোনার হরিণ
সুখ আসলে কী, সুখ আসলে কী
ছবি: আশিক বিন রহিম

সুখ আসলে কী, সোনার হরিণ

সুখ আসলে কী? মাথার ভেতর এমন প্রশ্নের বয়ে অনেকেই হয়তো একটা জীবন ক্ষয় করে দিয়েছেন! তবুও এমন প্রশ্নের চূড়ান্ত উত্তর কী জানা সম্ভব হয়েছে?।

এরিস্টটল বলেছেন, ‘জ্ঞানী লোক কখনও সুখের সন্ধান করে না।’ মূলত সুখের কোনো বিশেষায়িত সংজ্ঞা নেই। একে ধরা যায় না, ছোঁয়া যায় না। সুখ অনেকটাই উপলব্ধি বা অনুভূতির বিষয়।

দাম্পত্য জীবনে সু্খি হবার উপায় কী? এ বিষয়ে মহাননবী হযরত মুহম্মদ (সঃ) থেকে শুরু করে পৃথিবী বিখ্যাত মনিষীগণও অজস্র পরামর্শ, বাণী বা উক্তি রেখে গেছেন। কেবলমাত্র ধনবান হলেই সুখী হওয়া যায় না, ছোট্ট কুটিরেও সুখ লাভ করা যায়।

কিছু নির্দিষ্ট সময় ছাড়া টাকা-পয়সা, সৌন্দর্য একটি দাম্পত্য জীবনকে সুখী করতে পারে না। একটি সুখী দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য উভয় দিক থেকে গুণটি থাকা আবশ্যিব, তা হলো—আন্তরিকতা। পারস্পারিক বিনয়, শ্রদ্ধা, নমনীয়তা, বিশ্বাসযোগ্যতা, সহযোগী মনোভাবাপন্নতা, ক্ষমাশীল, উদার ও ধৈর্যশীলতা। সংসারকে সুখের স্বর্গীয় বাগান করতে প্রয়োজন একে অন্যের প্রতি মায়া-মমতা ও সুগভীর ভালোবাসা।

জুভেনাল বলেছেন, ‘একজন সুখী মানুষ সাদা কাকের মতোই দুর্লভ’। বর্তমান সময়ে সুখী মানুষ খুঁজে পাওয়া সোনার পাথর বাটির মতো। তবে ইচ্ছা থাকলে অবশ্যই সুখী হওয়া সম্ভব। কেবলমাত্র নিজের যতোটুকুন আছে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকলে সুখী হওয়া কঠিন কিছু না।

পরিশেষে ফ্রাঙ্ক সিনাত্রা বলেছেন, বিয়ের আগ পর্যন্ত পুরুষরা বুঝতে পারে না সুখ আসলে কি, যখন বুঝতে পারে তখন বড্ড দেরি হয়ে যায়।’

ছবিটি চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের বেদে পল্লী থেকে তোলা। স্ত্রী তরকারি কাটছেন আর স্বামী রান্না করছেন। প্রকৃতির স্কুলে ডিগ্রী নেয়া এই ভাসমান দরিদ্র মানুষদের কাছ থেকে অট্টালিকার মানুষদের শিখার আছে অনেক।

আশিক বিন রহিম,সাহিত্য ও সংবাদকর্মী