Home / জাতীয় / কোনো আপস করার প্রয়োজন নেই, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিইসি
nurul huda ec
ফাইল ছবি

কোনো আপস করার প্রয়োজন নেই, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিইসি

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নির্বাচন পরিচালনা কর্মকর্তাদের কোনোরকম আপসে না যেতে বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্যায়ে নিয়োগ করা রিটার্নিং কর্মকর্তা/সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা দেন তিনি।

সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনো রকমের আপস করার প্রয়োজন নেই। কেবল নিরপেক্ষতা ও আইনকানুনের ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে।’

নূরুল হুদা বলেন, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা সম্পূর্ণ উপজেলা পরিষদে নির্বাচন বন্ধ করার সুপারিশ করতে পারেন। কমিশন যদি মনে করে সুপারিশের পেছনে যুক্তি আছে, তাহলে ওই সম্পূর্ণ এলাকার নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে।’

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ওপর তার আস্থা রয়েছে, তারা সফলভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবেন বলেও জানান সিইসি।

পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস-চেয়ারম্যানদের পদত্যাগ করতে হবে না। তবে জেলা পরিষদের মেম্বার, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ অন্যদের পদত্যাগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

হেলালুদ্দীন আহমদ জানান, আইনকানুনের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইসি সচিব বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যারা পদে আছেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে, তাদের পদত্যাগ করতে হবে না। আর ভাইস-চেয়ারম্যানকেও পদত্যাগ করতে হবে না।’

হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আরেকটি সিদ্ধান্ত হলো অনেক স্কুল-কলেজ সরকারি হয়েছে। সেসব প্রতিষ্ঠান সরকারি হয়েছে, কিন্তু ব্যক্তিরা সরকারি হন নাই। তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বার, বা জেলা পরিষদের মেম্বার যদি উপজেলা নির্বাচন করতে চান, তাহলে তাদেরও পদত্যাগ করতে হবে।’

সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করায় এবারের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন তার কৌলীন্য হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।

এই কমিশনার বলেন, ‘গণতন্ত্র কখনও একদলীয় হয় না। বহুদলীয় না হলে গণতন্ত্র রূপ লাভ করে না। এ জন্য নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ার বিষয়টিতে সর্বদা গুরুত্ব আরোপ করা হয়। তবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হওয়া নিতান্তই প্রাথমিক প্রাপ্তি। এবারের উপজেলা নির্বাচন সর্বতোভাবে অংশগ্রহণমূলক না হওয়ায় তা কৌলীন্য হারিয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য হতে হয়। এ দুটি শব্দের পরিমাপক জনগণ, যারা নির্বাচন করেন তারা নয়।’

মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘এই প্রেক্ষাপট মনে রেখে আগামী উপজেলা নির্বাচন যাতে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনার প্রতি জনগণকে অধিকতর আস্থাশীল করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠু ও শুদ্ধ। বিতর্কিত বা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কখনও কাম্য নয়।’

এ সময় নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োজিত রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কোনো প্রকার ভয়-ভীতি চাপ, লোভ বা প্রলোভনের কাছে নতি স্বীকার না করার জন্য বলেন মাহবুব তালুকদার।(জাগো নিউজ)

বার্তা কক্ষ
১৪ ফেব্রুয়ারি,২০১৯