Home / জাতীয় / সালিশে ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা ‘ফৌজদারি অপরাধ’ কেন নয় : হাইকোর্ট
মোবাইল ফোনে মামলা পরিচালনার কথা চিন্তা করছে হাইকোর্ট
ছবি : হাইকোর্ট

সালিশে ধর্ষণের ঘটনা মীমাংসা ‘ফৌজদারি অপরাধ’ কেন নয় : হাইকোর্ট

ধর্ষণের ঘটনা সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা করা ‘ফৌজদারি অপরাধ’ হিসেবে কেন গণ্য করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টে চলমান অন্যান্য মামলা সম্পর্কে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

২১ অক্টোবর বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সরোয়ার পায়েল।

ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করার নির্দেশনা চেয়ে গত ১৮ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। আরও পড়ুন- অস্বাভাবিক ও ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে হাইকোর্টের রুল

রিটে ধর্ষণের মামলা ১৮০ কার্যদিবসে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করার বিষয়ে হাইকোর্টের যে নির্দেশনা আছে তা যেন কঠোরভাবে পালন করা হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এছাড়া রিটে গত ১০ বছরে সারা দেশে কতগুলো ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং কতগুলো মামলা বিচারের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে, তার তথ্য জানানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়। ধর্ষণের মামলার বিচার রুদ্ধদ্বার আদালতে করার বিধান কার্যকর করার নির্দেশনাও চাওয়া হয় ওই রিটে।

আরও পড়ুন: এমসি কলেজের ঘটনায় অনুসন্ধান কমিটি করে দিলেন হাইকোর্ট

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও অ্যাডভোকেট শাহিনুজ্জামান শাহিন এ রিট আবেদন দায়ের করেন।

আইন, স্বরাষ্ট্র, সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৩ অক্টোবর অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান, ধর্ষণের মামলায় আইন ও হাইকোর্টের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চেয়ে বিবাদীদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু নোটিশের প্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এ রিট আবেদন করা হয়।

ঢাকা ব্যুরো চীফ, ২১ অক্টোবর ২০২০