ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত রায়েও যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সাজা বহাল থাকায় মুক্তিযুদ্ধকালীন চট্টগ্রামের ত্রাস সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীকে ফাঁসিকাষ্ঠেই যেতে হবে। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করে।
এ রায়ের প্রতিক্রিয়ায় আদালতের ভেতরে-বাইরে উপস্থিতদের স্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়। বিদেশি একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবারের সাক্ষাতের গুজবের ওপর ভর করে চূড়ান্ত রায় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন অনেকে।
এই বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
জীবনভর বিভিন্ন কর্মকাণ্ড ও মন্তব্যের কারণে বিতর্কিত সাকা চৌধুরীই প্রথম বিএনপি নেতা, যাকে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসিতে ঝুলতে হচ্ছে। আর তিনি হচ্ছেন বাংলাদেশের মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করা দ্বিতীয় ব্যক্তি, এই অপরাধে চূড়ান্ত রায়েও যার সর্বোচ্চ সাজার রায় হল।
মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের (ফকা) চৌধুরীর ছেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাকা চৌধুরী যে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে হিন্দু ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থক নিধন এবং নির্যাতন শিবির চালিয়েছিলেন, এ মামলার বিচারে তা উঠে আসে।
চট্টগ্রামের রাউজানে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের মালিক নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যা, সুলতানপুর ও ঊনসত্তরপাড়ায়হিন্দু বসতিতে গণহত্যা এবং হাটহাজারীর এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তারছেলেকে অপহরণ করে খুনের দায়ে ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এক বছর নয় মাস পর আপিলের রায়ে সেই সাজাই চূড়ান্ত সাব্যস্ত হল।
২০১০ সালে যুদ্ধাপরাধের বহু প্রতীক্ষিত বিচার শুরুর পর ট্রাইব্যুনালে দণ্ডিতদের মধ্যে সাকা চৌধুরী হলেন পঞ্চম ব্যক্তি, আপিল বিভাগে যার মামলার নিষ্পত্তি হল।
পাঁচবছর আগে বিজয় দিবসের ভোরে তখনকার সংসদ সদস্য সাকা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বুধবার যখন আপিলের রায় হল, তখন তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে।
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur