Home / জাতীয় / সাইবার অপরাধ রোধে নিজস্ব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে জোর রাষ্ট্রপতির
সাইবার অপরাধ রোধ, সাইবার অপরাধ রোধে জোর রাষ্ট্রপতির, অন্যের মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজস্ব
ফাইল ছবি

সাইবার অপরাধ রোধে নিজস্ব প্রযুক্তি উদ্ভাবনে জোর রাষ্ট্রপতির

সাইবার অপরাধ রোধে অন্যের মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজস্ব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ ৬ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আয়োজিত ‘বেসিস সফটএক্সপো ২০২০’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, দেশের বিপুল সংখ্যক মেধাবি ও সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজকে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে বিশ্বমানের সফটওয়্যার ও সলিউশন্স উদ্ভাবনের কাজকে এগিয়ে নিতে হবে। একইসঙ্গে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ পণ্য ও সফটওয়্যারের প্রচারের জন্যও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর প্রমুখ।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে নতুন নতুন সফটওয়্যারের উদ্ভাবন ও এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যেমন মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করেছে এবং ঘরে বসেই বিভিন্ন সেবা পাচ্ছে তেমনি এর অপব্যবহারও মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।

তিনি বলেন, হ্যাকিং ও ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতিসহ বিভিন্ন সাইবার ক্রাইম এ খাতের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই অন্যের মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজস্ব প্রযুক্তি উদ্ভাবনকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এছাড়া উদ্ভাবিত প্রযুক্তির উন্নয়ন, সংরক্ষণ এবং অপব্যবহার রোধেও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের সমস্যার সমাধান আমাদেরই করতে হবে। এজন্য স্থানীয় বা বিদ্যমান সমস্যা ও প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখেই আমাদের ভবিষ্যত নীতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের মেধাবী তরুণদের কর্মসংস্থানসহ সরকারি ছোটো-বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে স্থানীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো অগ্রাধিকার পায় সে ব্যাপারেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, আমাদের স্থানীয় সফটওয়্যার কম্পানিগুলোকে আত্মনির্ভরশীল করতে দাতা সংস্থাগুলোর সহায়তায় যেসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে অথবা আগামীতে সেসব প্রকল্পে স্থানীয় কম্পানিগুলোকে কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। সেইসাথে সরকারের উদ্যোগের সাথে বেসরকারি খাতে সম্পৃক্ততা ও অংশীদারিত্ব বাড়াতে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) জোরদার করতে হবে।

ট্রান্সফর্মিং লাইফ থ্রু ইনোভেশন শ্লেগানে আইসিসিবিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতভিত্তিক সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ১৬ তম বেসিস সফটএক্সপো চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি।

বিশেষ অতিথি বলেন, সফটওয়্যার রপ্তানির পরিমাণ বাড়বে। আইটিতে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি হলে তা দিয়ে দেশের বাইরে জনশক্তি রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন সম্ভব। আমাদের ভৌগলিক সুবিধা এবং তরুণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আউটসোর্সিংয়েও বাংলাদেশ আরও ভালো করতে পারবে।

২০০০-এরও বেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যামপ। রয়েছে ৪৫টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইনোভেটিভ প্রজেক্ট শো-কেসিং, যাদের মধ্যে প্রথম তিনটি ইনোভেটিভ প্রজেক্টকে পুরষ্কৃত করা হবে। থাকছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় আউটসোর্সিং কনফারেন্স। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে সিএক্সও লিডারশিপ মিট।