Home / কৃষি ও গবাদি / ‘সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকায় তেমন ক্ষতি হয়নি’
‘সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকায় তেমন ক্ষতি হয়নি’
ফাইল ছবি

‘সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকায় তেমন ক্ষতি হয়নি’

ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবিলায় সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকায় তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

শনিবার (২১ মে) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৫তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিক লীগের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আশরাফ বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা মোকাবিলায় অনেক এগিয়ে। শেখ হাসিনা সরকারের সফলতার কারণে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বের কাছে আজ বাংলাদেশ রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী বিদেশে থেকেও সব সময় টেলিফোনে খোঁজখবর রেখেছেন। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের ব্যাপক প্রস্তুতি থাকায় তেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি।’

দুর্যোগ মোকাবিলায় বিএনপি সরকার ব্যর্থ হয়েছিল দাবি করে তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার দুর্যোগ মোকাবিলায় নিদারুনভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। সে সময় প্রায় ৩৮ হাজার লোককে প্রাণ দিতে হয়েছিল। আর ১৯৯৮ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সময় এত বড় বন্যা হলেও কোনো লোক মারা যায়নি।’

স্বাধীনতার পূর্বের দুর্যোগ মোকাবিলায় পাকিস্তানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ শীর্ষ নেতা বলেন, ‘পাকিস্তান আমলে এখনকার মত দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষকে আগে থেকেই সচেতন করা যেত না। মানুষকে নিরাপদ স্থানে নেয়া সম্ভব হয়নি। তখন পূর্ব পাকিস্তানের জন্য একটি হেলিকাপ্টারও ছিল না। দেশ স্বাধীন হওয়ায় আমরা দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হচ্ছি।’

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৮১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে না আসলে, বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকত। দেশের বন্যা, ঘূর্ণিঝড়সহ সকল ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের দেশ অনেক পিছিয়ে থাকত।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুলগেরিয়া সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে।’ এই প্রশংসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব ও অসাধারণ যোগ্যতার অর্জন বলে মনে করেন আশরাফ।

জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি ফজলুল হক মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৫:০৫ পিএম, ২২ মে ২০১৬, রোববার
ডিএইচ

Leave a Reply