সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল মাসিক বেতন সর্বনিম্ন ৮ হাজার ২৫০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে পে-কমিশনের প্রতিবেদন পর্যালোচনার জন্য গঠিত সচিব কমিটি। কমিটির প্রতিবেদনে বেতনের ধাপ ২০টি-ই বহাল রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড থাকছে না।
সচিবালয়ে বুধবার দুপুরে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ সব কথা জানান। সচিব কমিটির প্রধান ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা ও অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট নিয়ে ব্যস্ততার কারণে ৪ঠা জুনের আগে এটা নিয়ে কিছু করা সম্ভব হবে না। সচিব কমিটির প্রতিবেদনটি আমি পর্যালোচনা করে দেখব এবং এটা নিয়ে অন্যদের নিয়ে আলোচনা করব। তারপর এটা মন্ত্রিসভায় যাবে। ফলে পে-স্কেল ঘোষণা করতে জুলাই-আগস্ট মাস লেগে যেতে পারে। তবে যখনই এটা ঘোষণা করা হোক না কেন, ১ জুলাই থেকে এটা কার্যকর হবে।’
নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দুই ধাপেই এটা বাস্তবায়ন করা হতে পারে। আগেও তাই হয়েছে।’
‘নতুন পে-স্কেল পেয়ে সরকারি চাকরিজীবীরা সবাই খুশি হয়েছে’ সাংবাদিকদের এ কথার জবাবে তিনি বলেন, ‘খুশি করার জন্য এটা দেওয়া হয়নি। আগেরবার ৬২ শতাংশ বেতন বাড়ানো হয়েছিল। এবার কতটা বেড়েছে?’
প্রসঙ্গক্রমে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের বেতন কি বাড়েনি? সময়ের সঙ্গে বেতন বাড়াটা খুব স্বাভাবিক। এ বিষয়ে পে-কমিশন শতকরা হিসেবে অটো বেতন বৃদ্ধির একটা সুপারিশ করেছে। এটা পর্যালোচনা করে দেখা হবে।’
নতুন পে-স্কেলে বাজারে প্রভাব পড়বে না
‘নতুন পে-স্কেল বাস্তবায়ন হলে বাজারে এর প্রভাব পড়বে এবং জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারে’— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে দ্বি-মত পোষণ করেন মুহিত।
তিনি বলেন, ‘আমি এর সঙ্গে দৃঢ়ভাবে দ্বি-মত পোষণ করি। এ সব আপনাদের কথা। আপনারাই আপনাদের মত করে লেখেন।’
এ প্রসঙ্গে সচিব কমিটির প্রধান ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, ‘কমিশন প্রতিবেদন জমা দিয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ মাস আগে। এতদিনেও বাজারে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। তাই এখন এর প্রভাব পড়ারও কোনো কারণ নেই।
চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫