সড়ক দুর্ঘটনায় হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও ফরিদগঞ্জের যুবক মো. রাশেদুর রহমানের (১৯) মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
নিহত রাশেদুর রহমান হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। সে ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের পূর্ব শ্রী-কালিয়া গ্রামের সফিক মৌলভী হুজুরদের বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে।
জানা যায়, বুধবার বিকালে সিএনজিচালিত স্কুটার ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাশেদসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। আহতরা হলেন, সিএনজি চালক ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি গ্রামের চৌকিদার বাড়ির মিনহাজুর রহমান (২৬), যাত্রী একই গ্রামের কর্মকার বাড়ির দুলাল কর্মকারের ছেলে বিজয় কর্মকার (২০) ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার শীলমন্ডি গ্রামের বড়বাড়ি আইয়্যুব আলীর ছেলে শহীদুল ইসলাম (২৭)।
আহতরক সবাই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি ও পিকআপ জব্দ করে হাজীগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকালে হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের সেন্দ্রা পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় হাজীগঞ্জমুখী পিকআপ ও রামগঞ্জমুখী সিএনজিচালিত স্কুটারের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজির চালক ও যাত্রীসহ চারজন গুরুতর আহত হন।
এসময় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরিবারের সদস্যরা গুরুতর আহত মিনহাজুর রহমান, বিজয় কর্মকার ও শহীদুল ইসলামকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অজ্ঞাত হওয়ায় গুরুতর আহত রাশেদুর রহমানের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই রাশেদুর রহমানের মৃত্যু হয়।।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, অভিযোগ না থাকায় এবং লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া রাশেদুর রহমানের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, দূর্ঘটনা কবলিত সিএনজি ও পিকআপ জব্দ আছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩