চাঁদপুর

শৈত্য প্রবাহে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ৩ দিনে দুশতাধিক রোগী ভর্তি

চাঁদপুরে প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহে গত কয়েক দিনে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে আড়াই’শ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে বাড়ছে রোগীদের চাপ। ৩ দিনে প্রায় হাসপাতালে দুই শতাধিকের ও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে।

এসব রোগীদের মধ্যে ঠান্ডা জনিত শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে। তবে এসব রোগীরদের মধ্যে বৃদ্ধ এবং শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর পাওয়া গেছে।

৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায় ওইসব বিভাগ গুলোর মধ্যে শিশু এবং পুরুষ ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বেশি।

১-৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল পর্যন্ত গত ৩ দিনে শিশু ওয়ার্ডে সর্বমোট ৮২ জন শিশু রোগী ভর্তি হয়েছে। মহিলা ওয়ার্ডে বুধবার পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে সর্বমোট ৭৭ জন রোগী এবং পুরুষ ওয়ার্ডে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে সর্বমোট ৪৪ জন রোগী।

খবর নিয়ে জানা যায় চাঁদপুর জেলা শহরে গত কয়েক দিনের প্রচণ্ড শৈত্য প্রবাহের কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন দিনে হাসপাতালে নারী, পুরুষ ও শিশু সহ প্রায় দুই শতাধিকের ও বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে। তবে এসব রোগীদের মধ্যে শিশু এবং বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বেশি। শিশু বৃদ্ধ সহ অধিকাংশ রোগীরাই নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

রোগীদের চাপে হাসপাতালের কোথাও ঠাঁই নেই। সব কটি বিভাগের সবকটি বিছানা পরিপূর্ন হয়ে মেঝেতে ও রোগীদের জন্য বিছানা পাতা হয়েছে। হাসপাতালের ২য় তলার পুরুষ ওয়ার্ডকে আইসোলেশন ইউনিট করার কারনেই রোগীদের বিছানা এবং স্থানের সংকট দেখা দিয়েছে।

এখন হাসপাতালের ৩য় তলার শিশু ওয়ার্ডকে দুই ভাগে বিভক্ত করে শিশু এবং পুরুষ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এ কারনে রোগীদের চাপে মেঝেতে এবং কড়িডোরেও কড়িডোরেও বিছানা পেতে রোগীরা চিকিৎসেবা নিচ্ছেন। এসব রোগীরা জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, খিচুনী এবং নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এছাড়া ও অনেক শিশু রোগীকে অভিভাবকরা হাসপাতালে নিয়ে এসে ডাক্তার দেখিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে যান। একই ভাবে চিকিৎসাসেবা নিয়েছেন বয়স্ক রোগীরাও।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আর এম ও) ডাঃ সুজাউদদৌলা রুবেল এবং ডাঃ মোঃ আসিবুল আহসান চৌধুরীর সাথে আলাপকালে চাঁদপুর টাইমসকে বলেন, হঠাৎ শৈত্য প্রবাহের কারণে বৃদ্ধ এবং শিশুরা হঠাৎ,নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই বেশ কয়েক দিন হাসপাতালে রোগীদের প্রচুর চাপ দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও অনেকে জ্বর, সর্দি, কাশি সহ, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। হঠাৎ করে প্রচন্ড ঠান্ডা পড়ার কারনে শিশুরা এবং বৃদ্ধরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে তারা জানান।

তবে শৈত্য প্রবাহে শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি হয়ে থাকে। যখন প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়বে তখন সবাইকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। শীতের সময় গরম কাপড় পরিধান করতে হবে, তবেই বৃদ্ধ এবং শিশুরা অনেকটা ভালো থাকবে।

প্রতিবেদক:কবির হোসেন মিজি,৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

Share