যশোর এবং কুষ্টিয়া অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ফরিদপুর, মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, শ্রীমঙ্গল, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা ও ফেনী অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বিদ্যমান শৈত্যপ্রবাহ পরিস্থিতি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ রূপে দেশের কিছু কিছু জায়গায় অব্যাহত থাকতে পারে।
গতকাল বুধবার আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে। এদিকে ভারতীয় মিডিয়ার দেওয়া খবর অনুযায়ী জোরালো পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে কাশ্মিরে তুষারপাত চলছে। তার ফলে উত্তুরে হাওয়ায় ভর করে আসছে কনকনে ঠাণ্ডা। উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপমাত্রা আরো নেমেছে। হরিয়ানার নার্নুলে রাতের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রির ঘরে। তার ওপরে উত্তুরে হাওয়ার দাপটও বেড়েছে। সেই জোরালো উত্তুরে হাওয়ার দাপটে তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে কয়েকদিনের মধ্যে আবার তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা মোঃ শাহিনুল ইসলাম গত রাতে বলেন, মূলত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবেই বাংলাদেশে ঠাণ্ডা পড়ে। তবে ভারতের ওপর দিয়ে আসার সময় এর শক্তি কমে যায়। সে কারণে এদেশে বরফ পড়া বা তার কাছাকাছি মাত্রার ঠাণ্ডা পড়ে না।
তিনি আরো বলেন, আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা বেড়ে ১০ এর কিছু ওপরে যেতে পারে। তবে ১৫ থেকে ১৬ জানুয়ারির পর পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাবে তাপমাত্রা দেশের কোনো কোনো স্থানে আবার কিছুটা নামবে। ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি চলে আসবে। তবে চলতি মাসের শেষে আরো একটি শৈত্যপ্রবাহ আসতে পারে। তখন তাপমাত্রা বেশ অনেকটা নেমে যেতে পারে।
গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায় ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর যশোরের তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন কুয়াশায় যানবাহন, নৌ ও বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক জায়গা থেকে খেতের ফসল নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১১ : ৪৫ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৮, বৃহস্পতিবার
এইউ
Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস Top Newspaper in Chandpur