প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘শিশুরা যাতে আবার তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসতে পারে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পুনরায় শুরু করতে পারে সেজন্য সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে ভালো দিন আসবে, আমাদের শিশুরা তাদের স্কুলে যেতে সক্ষম হবে, তারা স্বাভাবিকভাবে তাদের পড়াশোনা শুরু করবে। আমরা সে লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
১৩ ডিসেম্বর রোববার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মিরপুর সেনানিবাসের জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা কোর্স-২০২০’ ও ‘সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধ কোর্স-২০২০’-এর স্নাতক অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কোভিড-১৯-এর জন্য স্কুল খুলতে পারছে না এবং অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সর্বোপরি শিশুরা যদি তাদের স্কুলে যেতে না পারে তবে এটি তাদের ওপর মানসিক চাপ তৈরি করে। সরকার যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখনই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।’
তিনি আবারও করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছতে না পারলেও বিশ্বে বাংলাদেশকে এখনো উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রতিরক্ষা কলেজের কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল আতাউল হাকিম সরোয়ার হাসান বক্তব্য দেন।
বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গত ১২ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের এ তথ্য জানিয়েছিলেন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর ১৭ মার্চ স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে অনলাইনে ক্লাস চলমান। তাছাড়া চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান, প্রাথমিক সমাপনী ও সমমান এবং জেএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে দেয় সরকার।
ঢাকা ব্যুরো চীফ,১৩ ডিসেম্বর ২০২০