শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি বন্ধের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে চারটি স্লোগান ঠিক করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। বিষয়গুলো সরকারি চিঠিতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ও সংস্থা থেকে মাঠপর্যায়ে পাঠানো সব চিঠিতে পর্যায়ক্রমে এসব স্লোগান সন্নিবেশিত করার নির্দেশ দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।
স্লোগানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘শাস্তিমুক্ত বিদ্যালয়, শিক্ষালাভে সহায় হয়’ ‘শিশুর জন্য বেত ছাড়ি, সৃজনশীল বাংলা গড়ি’ ‘আদর আর ভালোবাসা, দিতে পারে সুশিক্ষা’ ‘শিখবে শিশু হেসে খেলে, শাস্তিমুক্ত পরিবেশ পেলে।’
শিশুদের ওপর শারীরিক ও মানসিক শাস্তি বন্ধ সম্পর্কিত সচেতনামূলক স্লোগান ঠিক করে তা সব চিঠিতে যুক্ত করার এ সিদ্ধান্ত হয় গত ১৯শে মার্চ। এরপর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সাত সদস্যের একটি কমিটি করে ৩৩টি স্লোগান রচনা ও সংগ্রহ করে। তার মধ্য থেকে পরে চারটি স্লোগান প্রচারের জন্য চূড়ান্ত করা হয়।
২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেয়ার নামে নির্যাতনকে সংবিধান পরিপন্থি ঘোষণা করে।
পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বন্ধে নীতিমালা চূড়ান্ত করে তার আলোকে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
এরপর ২০১১ সালের ২৬শে এপ্রিল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ১১ ধরনের শারীরিক ও মানসিক শাস্তি নিষিদ্ধ করে সরকার। কোনো শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের শাস্তি দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া যাবে। প্রয়োজনে ফৌজদারি আইনেও সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের সময় তাদের নিয়োগপত্রে কোনো শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক শাস্তি দেয়া যাবে না- এ শর্ত অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের কাছ থেকে অঙ্গীকারনামা নেয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ০৮:৪০ এএম, ৪ আগস্ট ২০১৬, শুক্রবার
ডিএইচ