Home / শিক্ষাঙ্গন / শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!

শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মুশফিক মাহবুব বাবু। সদা হাস্যেজ্জল ওই ছাত্র বর্তমান সরকারের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নাখোশ ছিলেন। এনিয়ে তিনি বুধবার (১৫ আগস্ট) তার ফেইসবুকে শিক্ষাব্যবস্থা ও সরকারের সিস্টেমের সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সকালে তিনি ওই স্ট্যাটাস দিয়ে রাতে আত্মহত্যার ভয়ংকর পথ বেছে নেন। বুধবার রাতে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন। তবে তার ওই স্ট্যাটাসের সঙ্গে তার মৃত্যুর কোন সম্পর্ক রয়েছে কিনা এবিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুশফিকের এক সহপাঠী বলেন, সে অনেক হাসিখুশি ছেলে ছিল। তার কোন আর্থিক সমস্যা ছিল না। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, মুশফিক গতরাতে তার বাবার সাথে কথা বলে রুম থেকে বের হয়েছিল। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তার মধ্যে ক্ষোভ ছিল। সেটা আমরা আড্ডার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে সেটা সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই।

মুশফিক বাবু তার ফেইসবুকে যা লিখেছিলেন :

where the system is corrupted u can’t have the minimum right to say anything,,, its time to understand ur voice stands for nothing… so stop talking and start over with the government in charge… and praise them as their slaves…

our education system has told us what to do and what not to.. so that we can be controlled by the society that does have the power to put us on the prison or kill us and through our body somewhere we can’t even find… what about our feelings?? who gave them this power?
is it democracy? or just by the name its just the way to control the way where we have to obey and praise the power? just beacause u have gun power its not every power of the world…
I want freedom as a Bangladeshi… even if it kills me for the reason…

যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় :

যেখানে সিস্টেম নষ্ট হয়ে গেছে, সেখানে কিছু বলার নূন্যতম অধিকার নেই,,, এর সময় বুঝতে হবে আপনার কন্ঠ কোন কিছুর জন্য দাঁড়ায় না… তাই কথা বলা বন্ধ করুন এবং চার্জ সরকারের সাথে শুরু করুন… এবং তাদের দাস হিসেবে তাদের প্রশংসা করুন …

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের বলে দিয়েছে কি করতে হবে আর কি না.. যাতে আমরা সমাজের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে পারি যা আমাদের কারাগারে রাখার ক্ষমতা আছে অথবা আমাদের হত্যা করে এবং আমাদের শরীরের মাধ্যমে কোথাও আমরা খুঁজে পাচ্ছি না… আমাদের অনুভূতি কি?? কে তাদের এই ক্ষমতা দিয়েছে?

এটা কি গণতন্ত্র? অথবা শুধু এই নামে যে পথ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যেখানে আমাদের মেনে নিতে হবে এবং ক্ষমতার প্রশংসা করতে হবে? শুধু একারণে যে, তোমার কাছে বন্দুক ক্ষমতা আছে পৃথিবীর প্রতিটি শক্তি নয়…

আমি একজন বাংলাদেশী হিসেবে স্বাধীনতা চাই… এমনকি যদি আমাকে একারণে হত্যা করে…

ঢাবি প্রক্টর প্রফেসর ড. একেএম গোলাম রাব্বানী জানান, আমরা তার বিভাগের মারফতে জেনেছি যে সে আত্মহত্যা করেছে। এটি খুবই দু:খজনক ঘটনা। আমরা তার আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা করছি।

Leave a Reply