‘শিক্ষকদের ঘাটতির কারণে শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ে’

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের অধীনে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রকল্পের টাকা এখন থেকে মোবাইল ম্যাসেজের মাধ্যমে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. নুরুল আমিন।

তিনি শুক্রবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ অডিটোরিয়ামে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, অর্থের কারণে যেনো কেউ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে জন্যই এ প্রকল্পটি চালু হয়েছে। বিগত বছরে ১লাখ ২৯ হাজার শিক্ষার্থীকে এ প্রকল্প থেকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ মাধ্যামিক পর্যায় থেকে নারী শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ ঝরে পড়ে। এটি রোধ করতেই এ প্রকল্প অর্থ সহায়তা দিচ্ছে।

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, দরিদ্র শিক্ষার্থীরা যেনো এ সহায়তা প্রায় সে বিষয়টি আপনাদের নিশ্চিত করতে হবে। যে শিক্ষার্থীর অভিভাবক ৭৫হাজার টাকার নিচে আয় এবং ৭৫শতাংশের নীচে জমি তারাই পাবে এ উপবৃত্তি। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আপনাদেরকে পাঠদানেও মনযোগী হতে হবে। শ্রেণিকক্ষে যে বিষয়ে পাঠদান করবেন, সে বিষয় ভালো করে না জেনে পাঠদান করলে শিক্ষার্থীরা আগ্রহী হবে না। শিক্ষকদের ঘাটতির কারণে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ে।

প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর সৈয়দ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ লুৎফর রহমান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এএসএম. দেলওয়ার হোসেন, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মতিন মিয়া, প্রকল্পের কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক ও চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন।

চাঁদপুর সদর উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার একেএম সাইফুল হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিউদ্দিন। কর্মশালায় জেলার ডিগ্রি সমপর্যায়ের ৮০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩শ’ জন উপস্থিত ছিলেন।

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট 

||আপডেট: ০৫:২১ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০১৫, শুক্রবার

এমআরআর

 

Share