Home / সারাদেশ / শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াই মা হওয়াদের যেসব পুরুষ পছন্দ?
শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াই মা হওয়াদের যেসব পুরুষ পছন্দ?

শারীরিক সম্পর্ক ছাড়াই মা হওয়াদের যেসব পুরুষ পছন্দ?

ডেস্ক:

প্রযুক্তির কল্যাণে এখন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন না করেই মা হচ্ছেন অনেক নারীই। আর এ সুবিধাটি তাদের করে দিচ্ছে ইন ভিট্রো ফার্টালাইজেশন (আইভিএফ) ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে সন্তানধারণকারী অধিকাংশ নারীই সাধারণ চাকরিজীবী কিংবা ছাত্রী। এদের মধ্যে অনেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকেন। এছাড়া অধিকাংশর বয়সই ২০ এর কোঠায়। এদের বেশির ভাগই নিজেদের ক্যারিয়ারের প্রতি অনেক সচেতন।

সম্প্রতি ব্রিটেনে এক সমীক্ষায় এদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তারা কেন এই ট্রিটমেন্ট করছেন। অর্থাৎ তারা স্বাভাবিক নিয়মের বাইরে গিয়ে কেন মা হতে চাচ্ছেন। এই প্রশ্নের উত্তরে বেশিরভাগই নারীই জানিয়েছেন, তারা সন্তান নিতে প্রস্তুত। তবে তারা সঠিক জীবন সঙ্গীর জন্য অপেক্ষা করতে চান না।

এ খবরও এখন নতুন নয়। তবে এ নিয়ে বিভিন্ন পড়াশোনাও হচ্ছে। এমনই সমীক্ষায় উঠে এসেছে নারীরা কেমন স্পার্ম পছন্দ করেন। স্পার্ম ব্যাঙ্ক থেকে পছন্দমতো শুক্রানু বেছে নেওয়া না গেলেও সমীক্ষা বলছে স্পার্ম ডোনারের ব্যাপারে যথেষ্ট পছন্দ-অপছন্দ রয়েছে নারীদের। ডোনার হিসেবে নাকি স্মার্ট অথচ লাজুক এবং শান্ত পুরুষদের পছন্দ করেন নারীরা।

কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটির অফ টেকনোলজির অধ্যাপক স্টিফেন হোয়াইট অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন, ইটালি, সুইডেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৩ থেকে ৬৬ বছরের নারীদের নিয়ে অনলাইন সমীক্ষা চালান। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে লাজুক এবং গোছানো পুরুষদের স্পার্মের চাহিদা বহির্মুখী পুরুষদের থেকে বেশি।

এই বিষয়ে অনলাইন মার্কেট কী বলছে? ৫৬ জন স্পার্ম ডোনারকে নিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়। অনলাইনে ডোনারদের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে তথ্য দেয়া হয়েছিল। দেখা গেছে অধিকাংশ নারীই লাজুক ও ইন্টেলেকচুয়াল পুরুষদেরই ডোনার হিসেবে পছন্দ করেছেন।

ফার্টাইলিটি ক্লিনিকগুলোতে যেখানে দাতাদের সঙ্গে মহিলাদের যোগাযোগের বিশেষ সুযোগ থাকে না, সেখানে অনলাইন মার্কেটে দাতা-গ্রহীতার মধ্যে আলাপচারিতার সুযোগ অনেক বেশি। তাই অনলাইনে নিজেদের ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়ে স্পার্মের প্রচারের চালাতে হয় ডোনারদের।

এমনকী, এ ক্ষেত্রে ৭৩ শতাংশ পুরুষ পরবর্তীকালে নিজেদের সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন বলেও দেখা গেছে।

নিউজ ডেস্ক  ।। আপডেট : ৬:৪৮ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৫, শনিবার

ডিএইচ