Home / লাইফস্টাইল / শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের অমর কথাশিল্পী
ai-din-a

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যের অমর কথাশিল্পী

অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। শরৎচন্দ্রের কৈশোর ও প্রথম যৌবন কাটে ভাগলপুরের নানাবাড়িতে। এন্ট্রান্স পাসের পর কলেজে এফএ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন।

অর্থাভাবে পড়াশোনা বন্ধ করে দেন এবং বনেলি স্টেটে সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার সহকারীর চাকরি নেন। পরে কলকাতা হাইকোর্টের অনুবাদক ও মিয়ানমারে (তৎকালীন বার্মা) রেলওয়ের হিসাব দপ্তরে কেরানি পদেও কাজ করেছেন।

একসময় তিনি সন্ন্যাসী দলেও যোগ দেন এবং গান ও নাটক পরিবেশন করেন। শরৎচন্দ্র কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯২১ সালে তিনি কংগ্রেসের অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেন এবং হাওড়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।

শরৎচন্দ্রের প্রথম উপন্যাস ‘বড়দিদি’ ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হলে সাহিত্যজগতে পরিচিতি ছড়িয়ে পড়ে। তার উপন্যাসের সংখ্যা অনেক। এর মধ্যে ‘শ্রীকান্ত’, ‘চরিত্রহীন’,‘গৃহদাহ’,‘দেনা-পাওনা’, ‘পথের দাবি ও ‘দেবদাস’ খুবই জনপ্রিয়। বিপ্লবীদের সমর্থন করছে এ অভিযোগ তুলে তার ‘পথের দাবি’উপন্যাসটি ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেছিল। তার উপন্যাসে ব্যক্তিমানুষের ইচ্ছা ও মুক্তি মূলত সমাজই নিয়ন্ত্রণ করে থাকে এমনটা প্রকাশ পেয়েছে।

এ কারণে তাকে রক্ষণশীলও বলা হয়ে থাকে। শরৎচন্দ্র ছবি আঁকায়ও দক্ষ ছিলেন। মিয়ানমারে বসবাসকালে তিনি ‘মহাশ্বেতা’ নামে একটি অসাধারণ তৈলচিত্র অঙ্কন করেছেন। সাহিত্যকর্মে অসাধারণ অবদানের জন্য শরৎচন্দ্র কুন্তলীন পুরস্কার, জগত্তারিণী স্বর্ণপদক,বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সদস্যপদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি.লিট উপাধি (১৯৩৬) লাভ করেন।

১৯৩৮ সালের ১৬ জানুয়ারি তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বার্তা কক্ষ , ১৬ জানুয়ারি ২০২১
এজি