স্বাস্থ্য বাড়লে মানুষের চিন্তার শেষ নেই। পড়েন বড় ধরণের সমস্যায়ও। তাই ওজন কমাতে চেষ্টার কমতি নেই মানুষের। তবে গোলমরিচের মাধ্যমে ওজন কমাতে পারেন। বাঙালি শুধু যে ভোজনরসিক তা নয়, ভালোমানের মসলাখোরও বটে। আর এই গোরমরিচ পেটের চর্বি কমায়। ‘ব্ল্যাক পেপার’ অর্থাৎ গোলমরিচ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের এমনটাই মন্তব্য। ভিটামিন এ, সি এবং কে, খনিজ উপাদান, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ‘পিপেরাইন’ সবগুলোর সমন্বয় থাকায় গোলমরিচ প্রাকৃতিকভাবে বিপাকক্রিয়ার গতি বাড়িয়ে দেয়, ফলে কমে ওজন।
তবে অবশ্যই পরিমাণের দিকে নজর রাখতে হবে। প্রতিদিনের খাবারে সামান্য পরিমাণে মেশালেই খাওয়ার পরও কয়েক ঘণ্টা ক্যালরি খরচ করাবে এই মসলা।
গোলমরিচ খাওয়ার স্বাস্থ্যকর পন্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন ভারতের খাদ্যাভ্যাস ও পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নমামি আগারওয়াল এবং মেহের রাজপুত।
গোলমরিচের ঝাঁঝালো স্বাদ সইতে পারলে প্রতিদিন সকালে এক থেকে দুইটি দানা মুখে ফেলে চিবিয়ে খেতে পারেন। এতে সকাল থেকেই বিপাকক্রিয়া চলবে দুর্দান্ত গতিতে।
চায়ের কাপে এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করতে পারেন। এতে স্বাদেও আসবে ভিন্নতা।
সালাদ যে পুষ্টিকর খাবার তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাকে আরও মজাদার ও স্বাস্থ্যকর করতে মিশিয়ে দিতে পারেন গোলমরিচের গুঁড়া। জিভও খুশি, পেটও খুশি।
গরমের দিনে ঠাণ্ডা পানীয় যেন অমৃত। আর তাতে যদি গোলমরিচ মেশানোর সুযোগ মেলে তবে তা বাঙালির চাটপ্রিয় মুখে হবে আরও সুস্বাদু। লেবুর শরবতের চনমনে স্বাদের সঙ্গে হবে মসলাদার চমক, ওজন কমার পাশাপাশি অন্ত্র থাকবে সুস্থ, বাড়বে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও।
গোলমরিচের তেলও আছে, যার এক ফোঁটা এক গ্লাস পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করতে পারেন। এছাড়াও সালাদের তেল হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
লিপিড প্রোফাইল এবং রক্তরস বা প্লাজমাতে ফ্যাটি অ্যাসিড, ট্রাইগ্লিসারাইডস, ফসফোলিপিডস এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে গোলমরিচ। পাশাপাশি শরীরে স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের উৎপাদন বাড়ায় ও নতুন চর্বি কোষ গড়ে উঠতে বাধা দেয়।