Home / চাঁদপুর / শবে বরাতে ৬ হাফেজকে পাগড়ি পরানো হবে
শবে বরাতে

শবে বরাতে ৬ হাফেজকে পাগড়ি পরানো হবে

চাঁদপুর শহরের ৬নং ওয়ার্ড মুখাদী ঘাট এলাকায় অবস্থিত মরহুমা হাজী ফাতেমা খাতুন ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মারাসার ৬ জন কোরআনে হাফেজ ছাত্রকে পাগড়ি পড়ানো হবে পবিত্র শবে বরাতের দিনে। যারা কোরআনে হাফেজ হয়ে পাস করেছেন তারা হলেন হাফেজ মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, হাফেজ মোহাম্মদ ফাহমিদ, হাফেজ মোঃ রাকিবুল ইসলাম,হাফেজ মোহাম্মদ নাঈম শেখ, হাফেজ মোহাম্মদ নাঈম মিয়াজী, হাফেজ মোহাম্মদ নাফিস গাজী। পবিত্র শবে বরাতের দিন এই ৬ জন হাফজ ছাত্র পড়ানো হবে পাগড়ী।

জানা যায় মরহুমা হাজী ফাতেমা খাতুন ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মারাসার প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ করদাতা, চাঁদপুরের কৃতি সন্তান হাজী মোঃ কাউছ মিয়ার মায়ের নামে এই মাদরাসা প্রতিষ্ঠানটি করা হয়। মরহুমা হাজী ফাতেমা খাতুন ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসাটি শুরু থেকে পরিচালনা করে আসছেন ক্বারী মাওলানা ইব্রাহিম খলিল।
তিনি বলেন, এই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব কাউছ মিয়া তাঁর মায়ের নামে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। তাঁর নির্দেশক্রমে সুন্দরভাবে পরিচালনা করে আসছি মাদরাসাটি । ২০১৮ সাল থেকে মাদরাসার কার্যক্রম শুরু হয় ।
বর্তমানে এই মাদরাসায় ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ৪৫ জন। শিক্ষক রয়েছে ৪ জন ও অন্যান্য কর্মকর্তা সহ ৬ জন।

আমাদের শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যেমে ৬ জন ছাত্রকে আমরা কোরআনে হাফেজ বানিয়েছি। এটা আমাদের সফলতা ও গর্ববোধ করি। কারণ অন্যান্য মাদরাসার চেয়ে অনেক ভালো ছাত্র-ছাত্রী তারা মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করে। ভবিশ্যতে আমরা আরো সফলতা অর্জন করব।

শিক্ষক ও অন্যান্যদের সিদ্ধান্তে নিয়েছে যে এই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ কাউছ মিয়া অথবা তার ছেলে মোঃ মানিক মিয়ার সাথে আলাপ করে আগামী ১৪ সাবান মাসের শবে বরাতের দিন সন্ধ্যার পর তাদেরকে পাগড়ী পড়ানো হবে। প্রতিষ্ঠাতার নির্দেশক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবারের সদস্যরা ঐদিন উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে মরহুমা হাজী ফাতেমা খাতুন ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার কয়েকজন ছাত্রের মধ্যে মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম (১৪) ও ছাত্রী লামিয়া আক্তার জানান, এই মাদরাসার বড় হুজুর সহ শিক্ষকরা আমাদেরকে খুব ভালোভাবে পড়া শুনা করান এবং হুজুররা আমাদের সব ছাত্রছাত্রীদের সব সময় খাবার দিয়ে পরে খাবার খায়। উক্ত মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইফ জানান, মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ কাউছ মিয়ার নির্দেশক্রমে ছাত্র-ছাত্রীদের সযত্নে দিনের কোরআন শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। আমরা তাদেরকে মনোযোগ দিয়ে পড়াশুনা করাই। এই ৬ জন ছাত্র দ্রুত কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। তাদের পরিবার-পরিজনরা শুনে অনেক খুশিতে গর্বিত হয়েছেন এবং কোরআনে হাফেজ পাস করায় অভিভাবকরা দোয়া করছেন, যেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব কাউছমিয়াকে মহান আল্লাহ পাক নেক হায়াত দান করে।

স্টাফ রিপোর্টার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪