ল্যাপটপ কেনার আগে করণীয়

‎কাজের প্রয়োজনে আর বহনের সুবিধার্থে ল্যাপটপের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন বর্তমান সময়ের প্রযুক্তিপ্রেমীরা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ল্যাপটপ কেনার পরপরই ক্রেতাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

তাই ল্যাপটপ কেনার আগে কিছু বিষয়ে একটু লক্ষ রাখলেই সেসব সমস্যা এড়িয়ে চলা সম্ভব-

১. কাজের ধরন অনুযায়ী ল্যাপটপ কনফিগার করুন।

২. কনফিগার অনুযায়ী বাজেট নির্ধারন করুন। বাজেট অনুযায়ী কনফিগারড যন্ত্রাংশের ব্রান্ড নির্বাচন করুন।

৩. আপনার বাজেট অনুযায়ী কাছাকাছি মানের সবকয়টি মডেল, ব্রান্ড সিলেক্ট করে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সেই মডেল সম্পর্কে খোজ খবর নিন। রিভিউ অনেক সাইট রয়েছে। এখানে আপনার নির্ধারিত মডেলটির কোন দিকটি ভাল কোন দিকটি খারাপ তা আলোচনা করা হয়েছে। আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে তা ঐখানে লিপিব্ধ করতে পারেন। এক্সপার্টরা জবাব দিবে। এতে করে আপনি আপনার ল্যাপটপির কার্যক্ষমতা সম্পর্কে জ্ঞাত হবেন। এছাড়া আরো কিছু প্রয়োজনীয় টিপস পেয়ে যাবেন। রিভিউ সাইটের ঠিকানা পেতে গুগলমামুরে সার্চ দিন, কয়েকশত সাইটের ঠিকানা আপনার সামনে হাজির করবে।

৪. ওয়ারেন্টি ছাড়া কোন ল্যাপটপ কেনা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সুতরাং যে সব দোকান আপনাকে বিক্রয়উত্তর সেবা নিশ্চিত করবে তাদের কাছ থেকেই কিনবেন। এ ক্ষেত্রে আমার আপনার কাছাকাছি কোন দোকান থেকে, বিশেষ করে লোকাল শহরের লোকজন কাছাকাছি ভালো যায়গা থেকে ল্যাপটপ কিনবেন।

৫. এখন অনেক জায়গাতেই স্বল্প মূল্যে ব্যবহৃত (সেকেন্ড হ্যান্ড) ল্যাপটপ পাওয়া যায়। এ ধরনের ব্যবহৃত ল্যাপটপ কেনার আগে ভালোভাবে ভাবুন। কারন, সেকেন্ড হ্যান্ড ল্যাপটপ বিক্রির সময় বিক্রেতারা অনেক ত্রুটির কথা চেপে যান। আর ওয়ারেন্টি না থাকায় এসব ল্যাপটপ কিনে আপনি নিশ্চিন্তও থাকতে পারবেন না।

৬. ল্যাপটপের প্রধান সুবিধা হচ্ছে এটি খুব সহজেই বহন করা যায়। তাই যে ল্যাপটপ কিনবেন তার ওজন কেমন সেটা জেনে নিন। ছোট স্ক্রিনের ল্যাপটপের ওজন সাধারনত কম হয়; এসব ল্যাপটপের দামও তুলনামূলকভাবে বেশি। তবে গ্রাফিক্সের কাজ যারা করবেন তাদের জন্য একটু বড় স্কিনের ল্যাপটপ কেনাই ভালো।

চাঁদপুর টাইমস : এমআরআর/২০১৫

 

Share