ভাড়া না বাড়ানো পর্যন্ত লঞ্চ না চালানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা (যাপ)।
শনিবার (৬ নভেম্বর) সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া এ তথ্য জানান। ইতোমধ্যে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে লঞ্চ সরানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালের পর থেকে লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। আমরা বেশ কয়েক বছর ধরেই নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কাছে ভাড়া বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনছে না।
এর আগে শুক্রবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় প্রতি ১শ কিলোমিটার লঞ্চের ভাড়া দ্বিগুণ করার দাবি জানিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র কাছে চিঠি পাঠায় লঞ্চ মালিক সমিতি। সংগঠনের সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানান, ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে আমরা লঞ্চ ভাড়া শতভাগ বাড়াতে চাই। এজন্য একটি প্রস্তাবনাযুক্ত চিঠি অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। এখন তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করছি। শনিবার দুপুর পর্যন্ত আমরা দেখবো, এরপর নিজেরা বসে কর্মসূচির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো প্রস্তাবে ব্যবসায় টিকে থাকার লক্ষ্যে বর্তমান ভাড়ার ওপর ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১.৭০ টাকার স্থলে ৩.৪০ এবং ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বে ১.৪০ টাকার স্থলে ২.৮০ টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানানো হয়।
লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন (বীর বিক্রম) বলেন, যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংস্থার পক্ষ থেকে বহুবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ নিয়ে আগামী ৮ নভেম্বর ভাড়া নির্ধারণের প্রস্তাব প্রদানের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি একটি সভা আহ্বান করেন। কিন্তু গত ৩ নভেম্বর সরকার হঠাৎ করে জ্বালানি তেল তথা ডিজেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। ওই দিন রাত ১২টা থেকে তা কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে জাহাজ পরিচালনা ব্যয় বহুগুণে বেড়ে যায়। সঙ্গত কারণে সারাদেশের লঞ্চ মালিকরা ভাড়া বৃদ্ধির করার জন্য সংস্থাকে অনুরোধ করেন। অন্যথায় জাহাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, তেলের মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় সম্পর্কে শুক্রবার সারাদেশে লঞ্চ মালিকদের সমন্বয়ে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এক পর্যায়ে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়। ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। শনিবার দ্বিপ্রহরের মধ্য সিদ্ধান্ত চাওয়া হয়।