এমভি সুরভী-৯ লঞ্চ থেকে নিখোঁজের ছয়দিন পর কলেজছাত্র মেহেদী হাসান বাপ্পীর (১৭) মরদেহ বরিশালের হিজলা উপজেলাসংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
১৮ জানুয়ারি শনিবার দুপুরে মেঘনা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। মেহেদী হাসান বাপ্পী ঝালকাঠীর পোনাবালিয়া গ্রামের আ. হালিম বিশ্বাসের ছেলে। ঢাকার একটি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন তিনি।
হিজলা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ১১ জানুয়ারি নানা বাড়ি উজিরপুর উপজেলায় যাওয়ার জন্য ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি সুরভী-৯ লঞ্চে উঠে বাপ্পী।
এ সময় তার মা সঙ্গে ছিল। রাতে লঞ্চে মা এবং ছেলে পাশাপাশি কেবিনে ছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে না পেয়ে লঞ্চে খোঁজ করতে থাকেন মা। পরে লঞ্চের সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রাত ৩টার দিকে লঞ্চের পেছন দিকে গিয়েছিল বাপ্পী।
এসআই সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বাপ্পীকে না পেয়ে স্বজনরা বিভন্ন থানায় যোগাযোগ করেন। শনিবার মেঘনা নদী থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর বাপ্পীর স্বজনদের খবর দেয়া হয়। স্বজনরা এসে বাপ্পির মরদেহ শনাক্ত করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বার্তা কক্ষ, ২৮ জানুয়ারি ২০২০