যাত্রীবাহী লঞ্চের স্টাফ কেবিন থেকে এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের নাম মিনা। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় তরণীর স্বামীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন স্বামী আনিস, তার চাচাতো ভাই কালাম ও বন্ধু তুষার। নিহতের বাড়ি কুমিল্লায়, আনিস ও কালামের বাড়ি শরিয়তপুরে এবং তুষারের বাড়ি নওগাঁয়।
কোতোয়ালী থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আজাদ রহমান বলেন, ‘ঢাকা থেকে পারাবত-১০ লঞ্চে স্টাফ কেবিন ভাড়া নিয়ে আনিস ও তার স্ত্রী মিনা বরিশালে কুয়াকাটার নাম করে যাচ্ছিলেন। মাঝপথে রাত আড়াইটার দিকে আনিস কেবিনে তার চাচাতো ভাই ও সহযোগীকে কেবিনে প্রবেশ করে এবং নিজে বেরিয়ে যান। কালাম ও তার সহযোগী কেবিনের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে তরুণীকে গলাকেটে হত্যা করে। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনে কেবিনের বাইরে থাকা যাত্রীরা এগিয়ে আসে। হত্যার পর তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাইরে থাকা অপর যাত্রীরা তাদের দুজনকে এবং আনিসকে লঞ্চের ছাদ থেকে প্রায় নগ্ন অবস্থায় আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে।
মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে লঞ্চটি ঘাটে পৌঁছালে যাত্রী ও লঞ্চের কর্মচারীরা আনিস ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে থানায় সোপার্দ করে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার রহস্য উদঘাটন করা যাবে বলে জানান সহকারী কমিশনার।
নিউজ ডেস্ক : আপডেট, বাংলাদেশ সময় ১০:৫০ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৬, বুধবার
ডিএইচ