বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে ঢাকাগামী এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের ধাক্কায় বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে একজন নিখোঁজ রয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নদীর মকবুলের টেক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে বরিশাল সদর নৌ-থানার ওসি ও লঞ্চের কেরানী জানিয়েছেন।এতে লঞ্চের তলাও ফেটে গিয়েছে। পরে লঞ্চটি কীর্তনখোলা নদীর সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামছড়ি এলাকার চরে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
এমভি পারাবাত-১১ লঞ্চের কেরানী মো. তুহিন বলেন, বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে পাঁচ শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। লঞ্চটি নদীর মকবুলের টেক এলাকার মোড় অতিক্রমকালে সামনে একটি বাল্কহেড পড়ে। রং পাশে থাকা বাল্কহেড তখন আড়াআড়ি ঘুরিয়ে দেয়। এতে লঞ্চের চালক নিয়ন্ত্রন রাখতে না পেরে বাল্কহেডের উপর উঠিয়ে দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে গিয়েছে।
তুহিন আরো জানান, বাল্কহেডের সাথে সংঘর্ষে লঞ্চের পানির লেভেল থেকে একটু উপরের অংশ ফেটে গিয়ে পানি প্রবেশ করে। তখন লঞ্চটি আন্নি একটি চরে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, লঞ্চের যাত্রীদের সিংহভাগ এমভি প্রিন্স আওলাদ-১০ এ উঠিয়ে দেয়া হয়েছে এবং অর্ধশতাধিক যাত্রীকে ঢাকাগামী এমভি ফারহান লঞ্চে উঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
বরিশাল সদর নৌ-থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, সিলেট থেকে বালু নিয়ে বাল্কহেডটি বরগুনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলো।
লঞ্চের সাথে সংঘর্ষে বাল্কহেড ডুবে গেছে। যারা সাতরে তীরে উঠেছে তারা জানিয়েছেন একজন নিখোজ রয়েছে।
নিখোঁজ মো. রাকিব খান বাল্কহেডের কর্মচারী। সে বরগুনার তালতলী উপজেলার মোরানিদ্রা এলাকার বিল্লাল খানের ছেলে।
ওসি আরো জানান, নিখোঁজের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। কিন্তু রাতে তারা অভিযান করবে না। সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করবে।
পারাবত ১১ লঞ্চের যাত্রী পুলক ও তারেক জানান, বরিশাল নদী বন্দর থেকে ৯টায় ছেড়ে আসার পরে লামছড়ি এলাকায় একটি বাল্কহেডকে ধাক্কা দেয় লঞ্চটি। ধাক্কায় বাল্কহেডটি ডুবে যায়। আমরা দেখেছি তিনজন নদী সাতরে উপরে উঠেছে।
টাইমস ডেস্ক/১১ জুন ২০২৩